Also read in

NRC: "Strict actions will be taken against those who try to mislead people by spreading rumours" Chief Secretary T Y Das

এনআরসি নিয়ে অপপ্রচার ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: মুখ্য সচিব টি ওয়াই দাস

রাজ্যের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির জন্য ব্যাহত হয়েছে নাগরিকপঞ্জি নবায়ন প্রক্রিয়া (এনআরসি)র কাজগুলো। এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার আবেদনে সাড়া দিয়ে চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের দিনটিকে একমাস পিছিয়ে এনে ৩০ জুলাই করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার এটি ঘোষণার পাশাপাশি প্রক্রিয়াটিকে ঘিরে যাতে রাজ্যে কোনও অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার দিকে কড়া নজর রাখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার আগে থেকেই সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

সোমবার রাজ্যের মুখ্য সচিব টি ওয়াই দাস কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি এবং ডিমা হাসাও জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে এনআরসির খসড়া প্রকাশ সহ নাগরিকত্ব সমস্যা নিয়ে যেসব অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। এদিন বৈঠকে আসাম পুলিশের ডিজিপি কুলেন্দ্র সইকিয়া, এসডিজিপি পল্লব ভট্টাচার্য, এডিজিপি মুকেশ আগরওয়াল, আসাম রাইফেলসের আইজি মেজর জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, সিআরপিএফের ডিআইজি বি ডি দাস সহ সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস এবং বিএসএফের কমাণ্ড্যান্টরা অংশ নেন।
এদিন মূলত নাগরিকপঞ্জি নবায়ন প্রক্রিয়াকে ঘিরে আগামীতে রাজ্যে কি কি ধরনের অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে এবং এসব সামাল দিতে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সেসব নিয়ে আলোচনা হয়।
মুখ্য সচিব টি ওয়াই দাস সভায় বলেন, “নাগরিকত্ব নবায়ন প্রক্রিয়া সহ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং অন্যান্য বিষয়ে গুজব রটিয়ে অকারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে একদল। আমরা এসব ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেবো।”
ডিজিপি কুলেন্দ্র সইকিয়া বলেন, যারাই অকারণে গুজব রটানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের উপর নজরদারী রাখা হবে। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনামূলক কথাবার্তা বা ফোটো প্রচার করার চেষ্টা করবে তাদের প্রয়োজনে গ্রেফতারের কথাও ভাবা হচ্ছে।

মুখ্যসচিব এদিন বরাকের তিন জেলার বন্যা পরিস্থিতিরও খবর নেন। বন্যায় সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি এনআরসির কাজেরও ক্ষতি হয়েছে। কাছাড়ে প্রায় ২২টি সেবাকেন্দ্রে বন্যা চলাকালীন কোনও কাজ হয়নি। একই অবস্থা করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দিরও। বরাকে প্রায় ১৫ জন বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনঃর্বাসন দেওয়ার ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেন মুখ্যসচিব।
সোমবার সকালেই গুয়াহাটি থেকে শিলচর আসেন মুখ্য সচিব টি ওয়াই দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে এদিন দুপুরে তারা গুয়াহাটি ফিরে যান।

Comments are closed.