Barak Valley residents harassed on religious grounds in a hotel in Guwahati
বরাকের বাসিন্দা সেনা জওয়ান, শিক্ষককে সন্ত্রাসবাদী সাজানোর চেষ্টা গুয়াহাটির হোটেলে
গুয়াহাটির খানাপাড়ার একটি হোটেলে শুক্রবার রাতে বরাক উপত্যকার বাসিন্দা এক সেনা জওয়ান সহ শিক্ষককে হেনস্থা ও সন্ত্রাসবাদী সাজানোর ব্যর্থ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
বরাক ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রন্ট বিডিএসএফ নামের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে এ অভিয়োগ করে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিহিত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে।
বিডিএসএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আহাদ লস্কর, উপদেষ্টা আইনজীবী তাহের আহমেদ বড়ভূইয়া, মহাম্মদ আলী, আমিনুল ইসলাম, রূপক দেবনাথ প্রমূখ অভিযোগ করে বলেন, নাম এবং দাড়ির জন্য গুয়াহাটির খানাপাড়ার ভিভান্তা বাই তাজ হোটেল কর্তৃপক্ষ বরাকের তিন যুবককে সন্ত্রাসবাদী সাজানোর ব্যর্থ নিরলস প্রচেষ্টা চালায়। যদিও সেন্ট্রাল আই বি তা বুমেরাং করে দেয়। এদিন কুড়িজন গার্ডের বেস্টনিতে দীর্ঘ ছয় ঘন্টা মোবাইল, ফেসবুক, ইমেইল ইত্যাদি তন্নতন্ন করে ঘেটেও কোন প্রমাণ না পেয়ে বরাকের তিনজন ব্যক্তিকে মুক্তি দেয় আইবি।
তদন্ত শেষে মুক্তি পাওয়া তিন ব্যক্তি হলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত জওয়ান ইমরান হোসেন, বদরপুর পেরাগণ জুনিয়র কলেজের প্রেসিডেন্ট সাহাব উদ্দিন ও কাটলিছড়া শিক্ষা ব্লকের শিক্ষক জাহিদ ইসলাম বড়ভূইয়া। আব্দুল আহাদ জানান, শিক্ষক ও সেনা কর্মীদের সঙ্গে যদি এধরনের আচরণ করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কি ব্যবহার হতে পারে? সেনাকর্মী নিজের যাবতীয় ডকুমেন্ট দেখিয়েও হয়রানি থেকে রক্ষা পান নি। শেষ পর্যন্ত আত্মসম্মানের তাগিদে রাত বারোটার পরই হোটেল ছাড়তে বাধ্য হন জাহিদ ইসলামরা।
গুয়াহাটির খানাপাড়ার ভিভান্তা বাই তাজ হোটেলে ইসলামফোবিয়ার শিকার, সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে দীর্ঘ ছয় ঘন্টা সেন্ট্রাল আইবির গোয়েন্দাগিরির পর মুক্তি মিলে।
শুক্রবার রাতে গৌহাটির হোটেলে জাহিদ ইসলাম, সাহাব উদ্দিন ও ইমরান হোসেনের সঙ্গে যে অবাঞ্চিত ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে এ ব্যাপারে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিহিত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বি ডি এস এফ কর্মকর্তারা । এদিকে শিক্ষক জাহিদ ইসলাম বড়ভুইয়া জানান, তারা হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহক সুরক্ষা আদালতে মামলা করবেন।
Comments are closed.