Also read in

Festival mood in Panchayat elections: A total of 1293 nomination papers submitted in Cachar

উৎসবে মেজাজে রেলি, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে গতকাল শেষ হল পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর্ব।

মনোনয়নের শেষদিন মুখ্য রাজনৈতিক দলগুলো সহ নির্দলীয় প্রার্থী মিলে কাছাড়ে ১২৯৩ জন প্রার্থীত্ব জমা দিয়েছেন। ২৭টি জেলা পরিষদ পদে ১০৫টি মনোনয়ন, ১৬২টি গাও পঞ্চায়েতের জন্য ৫৭৪ এবং আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের জন্য ৬১৪ টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। জেলা শাসক ডাঃ এস লক্ষ্মণন এ খবরটি জানিয়েছেন।

দিনভর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রার্থীত্ব জমা করেন সারা জেলার প্রার্থীরা। বিজেপি, কংগ্রেস,অন্যান্য দল সহ নির্দল প্রার্থীদের বেশিরভাগই শেষের দিন জমা দিয়েছেন। শনিবার বিকাল পর্যন্ত মোট ৪৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। সোমবার সকাল থেকেই প্রার্থীদের ভিড় জমায়েত হয় কেন্দ্রগুলোতে। পুলিশ সহ সেনাবাহিনীর জওয়ানদের শহরের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজে লাগানো হয়। নির্ধারিত সময়ের ভেতরে শেষ করার জন্য ক্যুপনের ব্যবস্থাও করা হয় কোনও কোনও কেন্দ্রে।

মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে এত দেরি করা এবং একাবারে শেষের দিন এসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যাপারে বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই দলের বয়ান প্রায় একই। দলের নেতাদের মতে, তৃণমূল স্তরে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন এবং অনেকেই নির্বাচনে যোগ দিতে চান। তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে সময় লেগেছে আমাদের। পাশাপাশি দুই দলের তরফেই নির্বাচনে ভালো ফলাফল করবে বলে দাবি রাখেন নেতারা।

বিজেপি ভালো প্রদর্শন করবে বলে মনে করেন শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল এবং বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য সহ দলের অন্যান্য নেতারা। পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে দেশের সার্বিক উন্নতি সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে নয়। তারা একের পর এক নির্বাচনে বিজেপিকে জয়ী করে এর প্রমাণ দিচ্ছেন, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাই হবে।

দিলীপকুমার পাল বলেন, কংগ্রেস আমলে গ্রামীণ স্তরে দুর্নীতির রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এর উত্তর দেওয়ার যখন সুযোগ পেয়েছেন, তখনই বিজেপিকে বিজয়ী করেছেন। এবার তারা সেই সুযোগের আবার সদ্ব্যবহার করবেন। কেন্দ্রে এবং রাজ্যে যেভাবে কংগ্রেসের নাম মুছে গেছে, পঞ্চায়েত স্তরেও একই অবস্থা হবে।

প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিং মনে করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বিজেপিকে তাদের ভাওতাবাজির জন্য যোগ্য জবাব দেবেন। তিনি বলেন, সাড়ে চার বছর ধরে কেন্দ্রে এবং গত দুই বছর ধরে বিজেপি সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এসবের বিরুদ্ধে জনমনে যে ক্ষোভ রয়েছে, তার জবাব বিজেপিকে পেতেই হবে।

প্রধান দলগুলোর পাশাপাশি বিরাট সংখ্যক নির্দল প্রার্থীও রয়েছেন এবার। এদের অনেকেই দলীয় টিকেট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। কেউ কেউ তো প্রকাশ্যে নিজেদের ক্ষোভ উগলে দিতেও দ্বিধাবোধ করেন নি। তবে মনোনয়নের শেষদিন কোনও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরী হয়নি।মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীদের সঙ্গে সমর্থকদেরও ভিড় জমাতে দেখা যায়। অনেকেই শক্তি প্রদর্শনের জন্য গাড়ি ভর্তি করে সমর্থকদের নিয়ে এসে মনোনয়ন জমা দেন। মঙ্গলবার স্ক্রুটিনি এবং বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।

উল্লেখ্য,জেলায় নির্বাচন ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবং গণনার কাজ ১২ ডিসেম্বর থেকে হবে।

Comments are closed.