NRC: Organisation helping clueless people
প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে এনআরসির কাজে বিপন্ন মানুষের সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে সুভাষচন্দ্র বসু সেবা সংস্থা
সাহায্যের ইচ্ছে থাকলে উপায় এমনি বেরিয়ে আসে, প্রমাণ করল শিলচরের একটি সেবা সংস্থা। অসহায় মুহূর্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে স্বেচ্ছায় অসংখ্য দিশেহারা মানুষের উপকারের দায়িত্ব নিয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সেবা সংস্থা। কয়েকদিন আগে জেলা উপায়ুক্তের অফিসের কাছে ওরা ওদের হেল্পডেস্ক খুলেছিলেন, কিন্তু উপায়ুক্ত মহোদয় তাদেরকে সেখানে কাজ করতে দেননি। সংস্থার সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা আমাদের জানালেন, ডিসির অনুপস্থিতিতে ওরা এডিসি এ আর মজুমদারকে লিখিতভাবে এই হেল্প ডেস্ক খোলার কথাটা জানিয়ে ছিলেন। তারপরেও জেলা উপায়ুক্ত পুলিশ ডেকে এভাবে তাড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি।
তবে তাদের কাজ কিন্তু থেমে থাকেনি, তারা শিলচর বাণী পাড়ায় ১০ নম্বর বাড়িতে খুলেছেন একটি হেল্প ডেস্ক। সকাল ১১টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত হেল্পডেস্ক খোলা থাকবে- অসহায় মানুষদের এনআরসি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করার জন্য। সংস্থার সদস্যরা এগিয়ে এসে উপত্যকার এনআরসি ছুটদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু রবিবার হেল্প ডেস্কটি বন্ধ থাকবে।
ইতোমধ্যে সংস্থাটি কাজ শুরু করেছে। প্রথম দিনই এনআরসিতে নাম তোলার জন্য দাবি জানানোর ফর্ম পূরণ সহ বিভিন্নভাবে সংস্থা প্রচুর মানুষকে সাহায্য করেছে। তারা নিজেরা তো করছেনই, বিপদের মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন গণসংগঠন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলোর প্রতি।
ইচ্ছে করলে অন্যান্য সংস্থাগুলোও তাদের সঙ্গে মিলে টিম হিসেবে এনআরসি-ছুটদের ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে সাহায্য করতে পারেন এই বিপন্ন মানুষদের। ব্যক্তিগতভাবেও কারো ইচ্ছে থাকলে তাদের সঙ্গে একত্রে এক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন বলে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। শুধু এক্ষেত্রে একদিন আগে থেকে সংস্থাকে জানানোর অনুরোধ রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সংস্থার ওই কর্মকর্তা বললেন,”এনআরসি সেবাকেন্দ্রে তো শুধু ফর্মটা জমা নেবে, কিন্তু এই জটিল ফর্মটা ফিল আপ করবে কে! দাবি পেশের আবেদনপত্রটা ভরতে ভুল হতে পারে, আবার দালাল চক্রের চক্করেও পড়তে পারে। এই দিশেহারা মানুষগুলোকে একটু সাহায্য করার প্রচেষ্টা চলছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দলগুলো পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু এনআরসি-ছুট সকলকে সঠিক ভাবে দাবি পেশের কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করে নেওয়া উচিত”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ডিসেম্বর এনআরসি’র ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। তাই দ্রুত কাজ করতে আরো মানুষের প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংস্থার সদস্যরা। অনেকে যখন আবেদনপত্র পূরণ করার মত কাজের জন্যও বিপদগ্রস্ত এই মানুষদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক গ্রহণ করছেন, তখন সমস্যায় জর্জরিত এনআরসি ছুটদের সাহায্যার্থে বিনা পারিশ্রমিকে আবেদনপত্র পূরণ সহ এই মানুষগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় ব্রতী সংস্থার এমনতরো উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য।
Comments are closed.