Somava Biswas takes us through Arun Kumar Das' collection
অরুণ কুমার দাসের সারা জীবনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল: প্রান্তিক এক জাদুঘর
জাদুঘর একটি জাতির বা কোন জনপদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে। আবহমান কাল ধরে কোন জাতির গৌরবময় সম্পদের নমুনার ধারক হয়ে ওঠে কোন সমৃদ্ধ জাদুঘর বা সংগ্রহশালা।
আমাদের শহর শিলচর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত গঙ্গানগরে রয়েছে এমনই একটি সংগ্রহশালা। ভুবন পাহাড়ের পাদদেশে সবুজে মোড়া গ্রাম গঙ্গানগর। তারই এককোনে ছিমছাম একটি দোতলা বাড়ির বাইরে দেখা যায় একটি সাইনবোর্ড। তাতে লেখা ‘অরুণ কুমার দাস সংগ্রহালয়।’
গঙ্গানগরের বাসিন্দা অরুণ কুমার দাস মহাশয়ের বহু বছরের নিরন্তর পরিশ্রমে গড়ে তোলা এই ব্যক্তিগত সংগ্রহশালাটি। তাঁর বসতবাড়ির ভিটেতেই এ সংগ্রহশালাটি ২০০০ সালে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সন্তোষমোহন দেব। এ ঘটনার সাত বছর পর, ২০০৭ সালে তাঁর ব্যক্তিগত এই সংগ্রহশালাটির রেজিস্ট্রিকরণ করান অরুণ কুমার দাস, গঙ্গানগর অঞ্চলে যিনি পরিচিত ‘মাষ্টার বাবু’ নামে।
কী করে এমন একটি সংগ্রহালয় গড়ে তোলার কথা মাথায় প্রথমে এলো মাষ্টার বাবুর? শিক্ষক জীবনের সূচনালগ্নে অরুণবাবুকে প্রশিক্ষণ নিতে হয় শিলচরের নর্মাল স্কুলে। সেটা ১৯৬০ সালের কথা। সেখানে তিনি শুনতেন কাছাড়ের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে থাকা প্রাচীন জিনিষপত্রের কথা, যা কিনা সংগ্রহযোগ্য। প্রশিক্ষণের অঙ্গ হিসেবে অরুণ বাবুদের নানান ‘মডেল’ সংগ্রহ করতে হত, যেগুলি ব্যবহার হত শিক্ষাদানের সাহায্যার্থে। তখনই অরুণ বাবুর মনে হয় এমনি কিছু প্রাচীন দুষ্প্রাপ্য জিনিষের সংগ্রহশালা করলে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমনি কাজ। বরাক উপত্যকার একমাত্র সংগ্রহশালা অথবা জাদুঘরটি তৈরি হল অরুণ বাবুর অক্লান্ত পরিশ্রমে।
অরুণ বাবুর শিক্ষক জীবন কাটে বরাকের বিভিন্ন স্থানে। মনিয়ারখাল, জয়পুর রাজাবাজার, উধারবন্দ- এমনি বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হিসেবে জীবন কেটেছে তাঁর। কর্মজীবনের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চালিয়ে গেছেন তাঁর শখের কাজটি। পুরাতন, দুর্লভ জিনিস জোগাড় করতে অরুণ বাবুকে নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রায়ই ছুটে যেতে হয়েছে করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দির প্রত্যন্ত এলাকাতেও। তবে আশ্চর্যের কথাটি হচ্ছে, আসামের বাইরে কখনো তিনি কোনও মিউজিয়াম দেখতে, বা তাঁর সংগ্রহের বিষয়ে কোনও প্রশিক্ষণ নিতে যাননি। তাহলে তাঁর সংগ্রহের ক্যাটালগ তৈরি করা, সংগ্রহকার্যের নিয়মকানুন, সংগ্রহের জিনিষপত্রের সংরক্ষণ- এ সব সম্পর্কে তিনি জানলেন কি করে? ৬০ এর দশকে তো আর আজকের মুস্কিল আসান ‘ইন্টারনেট’ ছিল না। অরুণ বাবুর কথায়, সংগ্রহের নিয়মকানুন বা সংগ্রহের সাথে জড়িত নানান ব্যাপারে তিনি ওয়াকিবহাল হতে পেরেছেন কলকাতার ন্যাশনাল মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের সাহায্যে।মিউজিয়ামের কর্তৃপক্ষকে তাঁর উৎসাহের কথা চিঠিতে জানান অরুণ বাবু। আর কিছুদিনের মধ্যে বাড়ি বসেই পেয়ে যান দু খণ্ডের কলকাতা ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ইতিহাস। সে বই পড়েই সংগ্রহকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করেন অরুণ বাবু।
প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে গড়ে তোলা সংগ্রহালয়টির ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন টাইম মেশিন চড়ে পৌঁছে গেছি অন্য এক জগতে। সংগ্রহশালার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে কাঁচের আলমারি বন্দী নানান প্রাচীন পুঁথির রাশি। বৈষ্ণব গুরু রূপ গোস্বামীর সৃষ্ট উজ্জ্বল নীলমণি, পদ্মপুরাণ, রাগ রাগিণী সম্বন্ধে লেখা রাগ রত্নাকর, প্রেম ভক্তি চন্দ্রিকা, জয়দেবের গীতগোবিন্দ- প্রায় দু’শ বছর কিম্বা তাঁর চেয়েও বেশি বয়স হয়েছে হাতে লেখা দুষ্প্রাপ্য এই পুঁথিগুলির। দুষ্প্রাপ্য, অমূল্য- এমনি সব বিশেষণ অবশ্য শুধু এই পুঁথিগুলির বেলায়ই সীমিত নয়। মণিপুরি লিপিতে লেখা দুটি বই ও ১৯২৪ এ কাছাড়ের বন্যা সম্বন্ধে লেখা ‘কাছাড়ের মহাপ্লাবন’ বইটিও মূল্যাতীত।
পুঁথির সঙ্গেই ঠাঁই পেয়েছে বিভিন্ন সময়ের দুর্লভ কিছু সাময়িক পত্রিকা। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘আমরা বাঙালি’ ম্যাগাজিনটির ১৯৬২ তে প্রকাশিত বরাক উপত্যকার ভাষা আন্দোলনের ওপর বিশেষ সংখ্যাটি আমাদের জন্মভূমির এক কঠিন সময়ের দলিল। কুড়ির দশকে শিলচর থেকে প্রকাশিত ‘শিক্ষা সেবক’ ম্যাগাজিনটির প্রথম সংখ্যাটিও রয়েছে অরুণ বাবুর সংগ্রহে।তাছাড়া মাষ্টারবাবুর সংগ্রহের জৌলুস বাড়িয়েছে তাঁর অনবদ্য মুদ্রার সংগ্রহটি। জয়ন্তিয়া রাজাদের আমলের রৌপ্য মুদ্রা, হিন্দু রাজাদের সময়ের ভারতের নানা অঞ্চলের মুদ্রা, ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চালু করা প্রথম মুদ্রা, ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের স্বল্প সময়ের রাজত্বে প্রকাশিত তামার মুদ্রা, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ অবধি স্বাধীন ভারতে মুদ্রিত কয়েন- এমনি সব বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা যেন নিঃশব্দে বহন করে চলেছে কালের যাত্রার ধ্বনি।
মুদ্রা সংগ্রহের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিটও সংগ্রহ করেছেন অরুণ বাবু। ১৮৫৮ এ ভারতে প্রকাশিত প্রথম ডাকটিকিট, ভারতবর্ষ স্বাধীন হবার পর থেকে প্রকাশিত প্রায় প্রতি বছরের ডাকটিকিট তো তাঁর সংগ্রহে রয়েছেই, এছাড়াও সংগৃহীত হয়েছে নানান সময়ে প্রকাশিত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নানাবর্ণের ডাকটিকিটের এক দুর্লভ সম্ভার। ডাকটিকিট ছাড়াও অরুণ বাবুর সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছে ডাকবিভাগ-সংক্রান্ত আরও দুটি জিনিস-পোস্ট কার্ড এবং বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত স্মারক খাম।
শখ আর ইচ্ছেশক্তির জোরে অসাধ্য সাধনও বোধহয় সম্ভব। অরুণ বাবুর সংগ্রহের বৈচিত্র্য যেন এ কথাটির প্রমাণ। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দলিলের অলিখিত কাগজ, একশ বছর আগের জমি বেচার রেজিস্ট্রি করা কাগজ, আড়াইশ বছর পুরনো ইট, হাতে তৈরি বেতের ঝুড়ি, কাছাড়ের বিভিন্ন উপজাতির গায়ের গয়না- যেমন পয়সা দিয়ে তৈরি গলার মালা, রূপোর বাজুবন্ধ, দেড়শ বছর আগেকার বাঙালি মহিলার হাতে পড়বার শাঁখা, প্রায় লক্ষ বছর পুরনো গাছের জীবাশ্ম, শামুক ও গাছের পাতার জীবাশ্ম, নানান আকৃতির শঙ্খ, পুরনো আমলের ক্যামেরা, টেলিফোন, টাইপরাইটার, কালির দোয়াত, ধনেশ পাখির পালকের কলম, ঝর্ণা কলম, প্রায় হাজার রকমের দেশলাই বাক্স—– এমনি সব চিত্তাকর্ষক জিনিষপত্রে ভরা অরুণ কুমার দাস সংগ্রহালয়।
শিলচর শহর থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থিত অরুণ বাবুর সংগ্রহশালাটি সম্বন্ধে লেখা হয়েছে নানান পত্রপত্রিকায়। দৈনিক সোনার কাছাড়, দৈনিক যুগশঙ্খের পাশাপাশি কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাতেও “অরুণ কুমার দাস একাই এক প্রতিষ্ঠান” শিরোনামে এই জাদুঘরের কথা লেখা হয়েছে। শিলচরের কাছাড় কলেজের বাংলা বিভাগের ম্যাগাজিন ‘প্রথম আলো’ র পাতায়ও অরুণ বাবুর সংগ্রহশালার কথা স্থান করে নিয়েছে।
অরুণ বাবুর এই বিচিত্র সংগ্রহের সমাহার নানান সময়ে নানান উপলক্ষে শিলচরের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শিত হয়েছে।
১৯৬৮ এ গান্ধিমেলায় প্রথমবারের জন্য প্রদর্শিত হয় অরুণ বাবুর সংগ্রহের সম্ভার। তখন গান্ধীমেলা হত গান্ধীবাগে, শাপনালার ধারে। ‘গান্ধীমেলা ও প্রদর্শনী’ নামটি সার্থক করেই মেলা প্রাঙ্গনে বিশেষ ব্যবস্থা থাকত শিল্প-প্রদর্শনীর। ট্রাক ভাড়া করে অরুণ বাবু গঙ্গানগর থেকে মেলার মাঠে নিয়ে আসতেন তাঁর সংগ্রহের সামগ্রী। এরপর ১৯৭৫ এও গান্ধীমেলা ও প্রদর্শনী কমিটির আমন্ত্রণে মেলার প্রদর্শনী বিভাগে তাঁর সংগ্রহের প্রদর্শন করেন অরুণ বাবু।
গান্ধীমেলায় প্রদর্শনী ছাড়াও অরুণ বাবুর সংগ্রহ প্রদর্শনের তালিকাটি বেশ দীর্ঘ। ১৯৮১ এ শিলচরের ডি এস এ ময়দানে অনুষ্ঠিত শিল্প মেলায়, ১৯৯৪ এ মহকুমা পরিষদের লোক সংস্কৃতি উৎসবে, ২০০৫ এ বরাক উৎসবে, ২০০৭ এ নর্মাল স্কুলের শতবার্ষিকী উদযাপনে, ২০০৮ এ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদর্শনীতে অরুণ বাবু তাঁর সংগ্রহের সামগ্রীর প্রদর্শন করেন। প্রদর্শনীগুলিতে যোগ দেওয়ার প্রশংসাপত্র আজও সযত্নে রাখা আছে অরুণ বাবুর কাছে।
বিভিন্ন সময়ে শিলচরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পরিদর্শন করেছেন গঙ্গানগরস্থিত এই মিউজিয়াম। দূরদূরান্ত থেকে ভুবন পাহাড়ে শিবরাত্রি উদযাপন উপলক্ষে আসা কিংবা নিছক বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও অরুণ বাবুর সংগ্রহশালাটি ঘুরে দেখেছেন। সে তালিকায় রয়েছে বেশ কয়জন বিদেশি অতিথিও। সংগ্রহালয়টির এক কোনে রাখা Remark book টির পাতা ওল্টালে চোখে পড়ে একশ পনেরোটি মন্তব্য। ১৯৭৩ এ এক বিশেষ অতিথির পা পড়ে এই সংগ্রহালয়ে। গৌহাটি মিউজিয়ামের তৎকালীন জয়েন্ট ডিরেক্টর বি বি হাজারিকা আসেন অরুণ বাবুর ব্যক্তিগত মিউজিয়ামটির পরিদর্শনে। দর্শন শেষে অরুণ বাবুর অনুমতি নিয়ে হাজারিকা তাঁর সঙ্গে নিয়ে যান অরুণ বাবুর সংগ্রহের ৪ টি মুদ্রা ও এই সংগ্রহশালার স্টক রেজিস্টারটি। এই ঘটনার বেশ ক’বছর পর অরুণ বাবু এক বন্ধুর মারফৎ জানতে পারেন যে গৌহাটি মিউজিয়ামে অরুণ বাবুর সংগ্রহের চারটি মুদ্রাই প্রদর্শিত রয়েছে, আর সঙ্গে প্রাপ্তিস্থল হিসেবে গঙ্গানগরের নাম ও দাতা হিসেবে রয়েছে অরুণ বাবুর নাম। তবে ১৯৭৩ সালে বি বি হাজারিকা গঙ্গানগরের মিউজিয়ামটি পরিদর্শনের পর পরই, অরুণ বাবুর সংগ্রহশালায় বেশ বড় রকমের চুরির ঘটনা ঘটে। খোয়া যায় কয়েকটি মূল্যবান মুদ্রা, হাতে লেখা পুঁথি, দুষ্প্রাপ্য কিছু বই। কেবল সংগ্রহশালায়ই নয়, অরুণ বাবুর বাড়ি থেকেও সেদিন চুরি যায় প্রচুর বাসনপত্র, জামা কাপড়। পুলিশ তদন্তে নামলেও এই চুরির ঘটনার কোনও কিনারা আজ অবধি হয়নি।
পঞ্চাশের ওপর বয়স হল অরুণ বাবুর সংগ্রহশালার। অরুণ বাবুর নিজের বয়সও সত্তর ছাড়িয়েছে। তাঁর সংগ্রহশালাটিকে সমৃদ্ধ করতে অরুণ বাবুকে একাই হাঁটতে হয়েছে এতটা পথ। তাঁর কথায়, এল পি স্কুলের সামান্য একজন মাষ্টার হয়েও জাদুঘরের জিনিষপত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য যে আর্থিক সামর্থের প্রয়োজন তা তিনি নিজের আয় থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন। বরাক উপত্যকায় অরুণ বাবুর জানামতে এমন সংগ্রহশালা আর দ্বিতীয়টি নেই। জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে এই সংগ্রহালয়ের জনকের চিন্তা, তাঁর এই কর্মকাণ্ডটির কি উপযুক্ত মূল্যায়ন হবে না? কার দায়িত্বে রেখে যাবেন তাঁর সারাজীবনের কষ্টার্জিত এই মূল্যবান সংগ্রহ? সরকারের সাহায্যের আশায় বহুবার সরকারি দফতরের দরজায় কড়া নেড়েও কোনও সাড়া পাননি অরুণ বাবু। তবে অনেক শুভানুধ্যায়ীর শুভেচ্ছাতেই যে এতটা পথ চলতে পেরেছেন তা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন মাষ্টার বাবু। অনেকে আবার তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন গঙ্গানগর থেকে তাঁর সংগ্রহালয়টি সরিয়ে শিলচর শহরের বুকে অধিষ্ঠিত করতে। এ পরামর্শে অরুণ বাবুর সায় নেই। তাঁর মনে হয়, আজকের দিনে যখন গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন এত দ্রুত হয়ে উঠছে, তখন তাঁর জন্মস্থান গঙ্গানগরেই তো স্বমহিমায় থাকতে পারে এই সংগ্রহালয়। শহরের বেশিরভাগ মানুষই তো খরচ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জাদুঘর দেখে আসতে পারেন, গ্রামবাসীদের অনেকের পক্ষেই যা সাধ্যাতীত। অথচ তারা কেন জাদুঘর দর্শনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন? গ্রামের কিশোর কিশোরীদের জন্য জাদুঘর দর্শনের শিক্ষামূলক ভূমিকাটিও অনস্বীকার্য। মফঃস্বল ও গ্রামাঞ্চলের মানুষদের কথা ভেবেই অরুণ বাবু তাঁর সংগ্রহশালাটির স্থানান্তর চান না।
বরাকবাসী হিসেবে আমাদের গর্ব অরুণ কুমার দাস সংগ্রহালয়। আশা করি সংগ্রহশালাটি আমাদের সম্পদশালী অঞ্চলের ঐতিহ্য বহন করে চলবে। প্রান্তিক এই জাদুঘরটির জাদু কাল অপহরণ করতে পারবে না।
ছবি সৌজন্য : অদ্বয় পুরকায়স্থ
Comments are closed.