Achayak Ashram distributes food among poor on the occasion of Swami Swararupananda's death anniversary
অযাচক আশ্রমের শিলচর শাখার পক্ষ থেকে রবিবার প্রায় ১৫০টি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। শিলচর রাধামাধব রোডে আশ্রম প্রাঙ্গণে এদিন সকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী সহ মাস্ক এবং সেনিটাইজার বিতরণ করা হয়। নিখিল বিশ্ব অখণ্ড সংগঠনের প্রধান শ্রীশ্রী তপন ব্রহ্মচারী (দাদামণি) কলকাতা থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন। শ্রী শ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব প্রবর্তিত অখন্ড মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে কুপন বিতরণ করা হয়েছিল। এদিন আশ্রম প্রাঙ্গণে চক দিয়ে সার্কেল বানিয়ে ত্রাণ গ্রহণকারীদের মধ্যে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখা হয়। অযাচক আশ্রমের পক্ষ থেকে মান্না দেব জানান, শহরের বিভিন্ন এলাকার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্যদের তালিকা বানিয়ে তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। চাল, ডাল, মুড়ি, তেল, সোয়াবিন, আলু, বিস্কুট ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী সহ কাপড়ের মাস্ক, সাবান এবং সেনিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি সুশৃংখলভাবে সার্কেল করে সামগ্রীগুলো গ্রহণ করেছেন। আগামীতেও আশ্রমের পক্ষ থেকে এ ধরনের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জ্যোতিপ্রকাশ দাস, অসিত দাস, সুমন রায়, দিলীপ কর, শঙ্কু রায়, জয় সেন, অপূর্ব দাস সহ অনেকেই এদিন উপস্থিত ছিলেন। এই কাজেও তারা সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখেন।
সংগঠনের প্রধান শ্রীশ্রী তপন ব্রহ্মচারীজির আদেশ মতোই তারা কাজটি করেন। এর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা বলেন, স্বামী স্বরূপানন্দের আদর্শের অন্যতম দিক হচ্ছে জনমঙ্গল সংকল্প। এমনকি আধ্যাত্মিকতার অংশ হিসেবে এই সংকল্পকে প্রত্যেক অনুগত ব্যক্তির মধ্যে সঞ্চারিত করতে চেয়েছেন তিনি। স্বামী স্বরূপানন্দ এবং তার মানষ কন্যা শ্রীশ্রী সংহিতা দেবীর মহাপ্রয়াণ এবং তাদের মহাসমাধি তিথির মাঝামাঝি যে রবিবার পড়ে, প্রতিবছর সেই দিনটিতে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজন করে অযাচক আশ্রম। এবছর লকডাউন থাকার ফলে রক্তদান শিবির হচ্ছে না। তার পরিবর্তে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ শিবির আয়োজন করেছে সংগঠনটি। আগামীতেও এই ধরনের কার্যক্রম চলতেই থাকবে বলে জানানো হয়।
Comments are closed.