Administrative meeting regarding Pujo-preparation, Municipality Chairman is against the construction of Pujo Pandal by blocking the road.
গতকাল কাছাড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রতিনিধি এবং পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের নিয়ে আসন্ন দুর্গা পূজার প্রস্তুতি নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে উক্ত সভায় পৌরোহিত্য করেন ডিস্ট্রিক্ট ডেভলপমেন্ট কমিশনার ফনি ভূষণ রায়।
আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা নিয়ে সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ তাদের মতামত প্রকাশ করেন। ফনি ভূষণ রায় তার বক্তব্যে স্বচ্ছ ও পরিবেশ বান্ধব ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোক্তাদের কাছে আবেদন রাখেন। সভায় বিগত বছরগুলোর মতো এবছরও দুর্গাপূজা উৎসবে শহরের পূজামণ্ডপগুলোতে স্ত্রী পুরুষদের জন্য প্রবেশের পৃথক ব্যবস্থা রাখা, আবর্জনা নিষ্কাশন এবং ডাস্টবিন স্থাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখা, পুজো কমিটিগুলোতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী এবং অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সভায় প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। সদরঘাটের বরাক নদীর উপর নির্মীয়মান দ্বিতীয় সেতুর কাজ চলায় অরুণ চন্দ্র রোড (পুরসভা দপ্তর- বঙ্গভবনের সামনে রাস্তা) সংকুচিত হওয়ার ফলে বিসর্জন শেষে লরি নিয়ে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। পূর্ত বিভাগের বাস্তুকার তাদের আশ্বস্ত করে বলেন যে ৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই রাস্তাটির সংস্কার পর্ব শেষ হয়ে যাবে, তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। এদিকে পূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সদরঘাট সেতুটিতে অবিলম্বে ভারী যানবাহন চলাচল সীমিত করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় পুরপতি নিহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুর তাঁর বক্তব্যে রাস্তা বন্ধ করে পূজা প্যান্ডেল বানানোর বিরোধিতা করেন। বিভিন্ন প্রতিনিধিগণ পুজোর দিনগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা, দুই বেলা জল সরবরাহ করা, যান চলাচল সঠিকভাবে এবং পরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, মাইক বাজানোর নির্দিষ্ট বিধি মেনে চলা ইত্যাদি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রতিমা নির্মাণে জলে দ্রবণীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক সামগ্রী ব্যবহার না করতে আবেদন জানানো হয়। সভায় প্রস্তাব নেওয়া হয় ,জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরকে চারটি ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগে অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন রাখা হবে। শ্মশানের পাশের চণ্ডীচরণ রোডে পুলিশ মোতায়েন এবং কলেজ রোডে পুজোর দিনগুলোতে নিয়মিত টহল দেওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুভাষ নগর পূজা কমিটির কর্মকর্তা সজল আচার্য। কলেজ রোডে অস্থায়ী পুলিশ চৌকি স্থাপনের আবেদন জানান তিনি। লিংক রোড এলাকার সমস্যা নিরসনে পূর্ত বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পুর কমিশনার রতন সরকার। সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডঃ অজিৎ ভট্টাচার্য জানান যে, পুজোর চার দিন সিভিল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। পুজোর দিনগুলোতে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা যায় কি না সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। জল পরিবহন বিভাগ এর তরফ থেকে জানানো হয় যে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বরাক নদীতে এসডিআরএফ এর বোট তৎপর থাকবে।
Comments are closed.