
আসন্ন মরশুমে নতুন ফরম্যাটে আন্তঃজেলা ফুটবল করবে এ এফ এ, এপ্রিলে শিলচরে আন্তঃক্লাব দলবদল : বিকাশ
করোনার জেরে পুরোপুরি একটা মরশুম বাতিল হয়ে গেছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন মরশুমে নির্দিষ্ট সময়েই রাজ্যে ফিরতে চলেছে ফুটবল। এজন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে অসম ফুটবল সংস্থা (এ এফ এ)।
করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তবে গত একমাসে গোটা দেশের সঙ্গে অসমেও দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে এবার ফুটবল ফেরাতে মাঠে নেমে পড়েছে এ এফ এও। করোনার জন্য গত মরশুমে কোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়নি। তবে আসন্ন মরশুমে নির্দিষ্ট সময়েই আন্তঃজেলা প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে এ এফ এ। সাধারণত একটি ভেন্যুতেই আন্তঃজেলা টুনামেন্ট হয়ে থাকে। জুনিয়র ও সিনিয়র দুটি বিভাগেই একটি ভেন্যুতেই টুর্নামেন্টের আসর বসে। তবে আগামী বছর নতুন ফরম্যাটে হবে আন্তঃজেলা টুনামেন্টগুলি।করোনার কথা মাথায় রেখে এমন পরিকল্পনা করছে অসম ফুটবল সংস্থা।
নির্দিষ্ট একটা ভেনুতে আন্তজেলার আসর বসলে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই আগামী বছর আন্তঃজেলা টুর্নামেন্ট গুলি জোনাল ভিত্তিক করার পরিকল্পনা নিয়েছে এ এফ এ।
আসন্ন মরশুমে আন্তঃজেলা টুর্নামেন্ট প্রাথমিক স্তরে হবে জোন ভিত্তিক। এরপর জোন থেকে দলগুলি প্রতিযোগিতার মূল পর্বে খেলার ছাড়পত্র আদায় করবে। এর অর্থ হচ্ছে জোনাল চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।নতুন এই ফরম্যাটে কয়েকটি জোন তৈরি করা হয়েছে। বরাক উপত্যকার চারটি জেলাসহ ডিমা হাসাও রয়েছে ই গ্রুপে।
এক বৈঠকে নতুন ফরম্যাট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ এফ এ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসম ফুটবল সংস্থার সহ সভাপতি বাবুল হোড় ও কোষাধ্যক্ষ হিরেন গগৈ। নতুন ফরম্যাটে প্রতিটি গ্রুপের জন্য থাকবে ভিন্ন কমিটি। দক্ষিণ অসম জোন অর্থাৎ ই গ্রুপের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন শিলচর ডি এস এর সভাপতি বাবুল হোড়। এছাড়া কনভেনার হিসেবে রয়েছেন করিমগঞ্জ ডি এস এর ফুটবল সচিব মৃণাল কান্তি দাস। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অমলেশ চৌধুরী, শৈবাল সেনগুপ্ত, দেবব্রত পাল, বিকাশ দাস এবং রাতু হাকমেওসা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই কমিটিতে শিলচর সহ করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি লক্ষীপুর এবং ডিমা হাসাও এর প্রতিনিধি রয়েছেন।
এ এফ এফ বৈঠকে রেফারি তুলে আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বেশি করে সেমিনার আয়োজন করার জন্য জেলা গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে অসম ফুটবল সংস্থা। শীঘ্রই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু করবে এ এফ এ। মহামারী ভাইরাসের কারণে রাজ্যের ফুটবলের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে জুনিয়র স্তরের। একটা মরশুম বাতিল হয়ে যাওয়ায় জুনিয়র ফুটবলারদের জন্য রাস্তা আরও কঠিন হয়েছে। কারণ তাদের বয়স আরো এক বছর বেড়ে গেছে। অথচ এই সময়ে তারা কোন টুর্ণামেন্টে খেলেননি। এ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এ এফ এ। এদিকে, অসম ফুটবল সংস্থার বৈঠকে ইতিবাচক বলছেন শিলচর ডি এস এর ফুটবল সচিব বিকাশ দাস। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাকালে এ এফ এর এমন পদক্ষেপ যথেষ্ট ইতিবাচক।’
বিকাশ বাবু জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে শুরু হয়ে যেতে পারে রাজ্যে ফুটবল মরশুম। আর নিজেদের ফুটবল মরশুমের জন্য সংস্থার বাই লো অনুসারে এপ্রিলে আন্তঃক্লাব দল বদল করা যাবে। ফুটবল সচিব এটাও জানিয়ে দেন যেহেতু অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন এ এফ একে কিছুই জানায়নি, তাই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
Comments are closed.