Also read in

Affair started after dialing a wrong number ends with boy looting the girl

মোবাইলে রং নম্বর ডায়েল করার খেসারত: সর্বস্ব লুট হাইলাকান্দির প্রেমিকার

মোবাইল ফোনে রং নম্বর ডায়েল করার সূত্র ধরে প্রেম। এরপর ভালবাসা। কিন্তু এর শেষটা মোটেই ভালো হল না। বরং এমন ভালবাসার খেসারত দিয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন হাইলাকান্দির এক যুবতী। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে  নিয়ে গিয়ে বদরপুরের মালুয়ার  একটি ভাড়া ঘরে প্রেমিকার সর্বস্ব লুট করে পালাল এক প্রেমিক।

প্রেমিকের সাথে সংসার  বাঁধার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ঘর পালানো ওই যুবতী বর্তমানে   ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের দরজায় কড়া নাড়ছেন।। ইতিমধ্যে   বদরপুর পুলিশ   প্রেমিকা যুবতীকে উদ্ধার করে লালা পুলিশকে সমঝে দিয়েছে।  লালার আব্দুল্লাপুর ফাঁড়ি পুলিশ সোমবার বিকেলে  প্রেমিকা যুবতীর জবানবন্দি নথিভূক্ত করেছে।  লালার সেরালিপুর গ্রামের বাসিন্দা  ওই যুবতীর ভাইয়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে লালা পুলিশ মামলা নথিভূক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে।। যুবতীর অভিযোগ,  মোবাইল ফোনে রং নম্বর থেকে মিসকলের  সূত্র ধরে করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার থানাধীন  কনকপুর গ্রামের জনৈক  মাজার আহমেদ মাজু  ওরফে জাবির হোসেনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক  গড়ে উঠে।  একসময় সে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সরাসরি  সাক্ষাতের কথা বলে।।

গত একুশ সেপ্টেম্বর মহরমের দিনে লালা ছুটে আসে সে। অপরদিকে নিলামবাজার থেকে অল্টো গাড়ি নিয়ে ছুটে আসে  মাজার আহমেদ। প্রেমিকের আহবানে সাড়া দিয়ে লালা এলে সাক্ষাৎ ঘটে  সদলবলে আসা   মাজারের সাথে। শুধু সাক্ষাতের কথা বললেও একসময় গাড়িতে তুলে নিয়ে  বিয়ের কথা বলে বদরপুর নিয়ে যায়।  সেখানে মালুয়া এলাকার একটি ঘরে নিয়ে উঠে সে।   রাত কাটায় সেখানে ।  রাতভর চলে যৌন নির্যাতন।  এরপর তার সাথে থাকা নগদ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা সহ স্বর্নলংকার হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। পরদিন  দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করার পর সে আর ফিরে আসে নি।  কান্নায় ভেঙে পড়ে যুবতী।  এহেন পরিস্থিতিতে খবর পেয়ে  বদরপুর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।  বাইশ সেপ্টেম্বর বিকেলে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বদরপুর ছুটে গিয়ে তাকে সমঝে নিয়ে আসেন এবং লালা থানায় এজাহার জমা দেন। যুবতীর এজাহারের ভিত্তিতে লালা পুলিশ ৪৬৬/১৮ নম্বরে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৬/৩৪ ধারায় মামলা নথিভূক্ত করেছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হল জাবির হোসেন ও আয়নুল হক।

অসম প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন বড়ভুইয়া এক বিবৃতিতে   প্রেমের নামে কলংক  প্রতারক  মাজার আহমেদকে  অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে আহবান জানিয়েছেন। এদিকে লালা পুলিশ তদন্তে নামলেও এখন পর্যন্ত প্রতারক প্রেমিক মাজার আহমেদের কোন সন্ধান পায় নি।  আব্দুল্লাপুর ফাঁড়ি পুলিশ  যুবতীর জবানবন্দি গ্রহনের সাথে সাথে মেডিক্যাল পরীক্ষাও করিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতারক প্রেমিক মাজার আহমেদের কোন সন্ধান বের করতে পারে নি পুলিশ।। তার খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

Comments are closed.