Also read in

After waiting several hours pupils leave for Jorhat to attend the Gyanjyoti Project

শিলচরের ক্ষুদে পড়ুয়াদের দিনভর আটকে রাখা হলো সার্কিট হাউসে। সরকারি প্রকল্পের অধীনে কাছাড় জেলা সহ বরাক উপত্যকার বিভিন্ন এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে আনা হয়েছিল জ্ঞানজ্যোতি প্রকল্পে যোগদানের উদ্দেশ্যে। দুপুর ১২টায় শিলচর থেকে বাস রওনা হওয়ার কথা, তাই সকালবেলায় সার্কিট হাউসে পৌঁছে যায় ছাত্র-ছাত্রীর দল। অথচ দিনভর সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এমনকি জল বা খাবারও জোটে নি কচি কাচাদের। শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় চারটি বাস এসে তাদের নিয়ে যোরহাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। উল্লেখ্য, এ বছর কেন্দ্রীয় ভাবে অনুষ্ঠানটির যোরহাটে আয়োজন করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞানজ্যোতি প্রকল্পের অধীনে প্রতিবছর সারা রাজ্যের ছাত্রদের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সারা রাজ্যের সঙ্গে বরাক উপত্যকার তিন জেলার ৮২জন স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে।

তবে বারোটা বাজার পর ধীরে ধীরে সময় গড়িয়ে গেলেও কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। খাবার জল কিছুই দেওয়া হয়নি। এরপর সন্ধ্যা হয়ে এলে অভিবাবকরা এর প্রতিবাদ জানান। তারা স্থানীয় সরকারি আধিকারিকদের কাছে প্রশ্ন করেন এভাবে ছোট ছোট বাচ্চাদের হেনস্থা করার কি মানে? কেউ কেউ জানিয়ে দেন যে এরকম চললে তারা তাদের সন্তানদের পাঠাতে পারবেন না। পরে তড়িঘড়ি করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং প্রায় ৬ টা নাগাদ চারটি বাস সার্কিট হাউসে এসে উপস্থিত হয়। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে জোরহাট এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া হয়।

রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি বছরই এভাবে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভ্রমণে পাঠায় বলে উল্লেখ করেন জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি। এবারও জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাছাই করে অনুষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যোরহাট থেকেই আধিকারিকরা যোগাযোগ করে ছাত্রদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। বুধবার যোরহাটের আয়োজকরা যোগাযোগ করতে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হন। ফলে পড়ুয়াদের রওনা হতে কিছুটা দেরি হয়। তবে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Comments are closed.