
Alternative route : Auto-owner organizations threat Agitation
চণ্ডীচরণ রোড দিয়ে অম্বিকাপট্টি বিকল্প অটো রুট মানবনা, আওয়াজ ক্ষুব্ধ অটোচালক ও মালিকদের
রুট বাতিলের দাবিতে বুধবার ডিসি কে স্মারকপত্র দেবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
শিলচরের রাঙ্গিরখাড়ি শিব কলোনি ও চণ্ডীচরণ রোড পয়েন্ট থেকে অম্বিকাপট্টি পয়েন্ট পর্যন্ত অটো চলাচলে কাছাড় জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নো এন্ট্রি জোন মানবে না অল কাছাড় অটো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। রবিবার শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই হুংকার দিয়েছেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভাপতি বিকাশ ভট্টাচার্য সহ অন্যরা। এই নো এন্ট্রি জোন বাতিলের দাবিতে আগামী ১১ মার্চ বুধবার কাছাড়ের জেলা শাসককে কড়া ভাষায় স্মারক পত্র দেওয়া হবে। স্মারকপত্র পত্র দেওয়ার আগে ওইদিনই বেলা সাড়ে এগারোটায় জেলা শাসকের কার্যালয়ের সামনে একই দাবিতে আধঘন্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করবেন অটো মালিক ও চালকরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়ে অল কাছাড় অটো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কোঅর্ডিনেশন কমিটির সভাপতি বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন, শিলচর শহরের যানজট সমস্যার সমাধানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগ যানজটের সুরাহা করতে গিয়ে বারবারই টার্গেট করছে অটো চালক ও মালিকদের। যানজট আটকাতে যখন তখন অটো রুট বদলে দেওয়া হচ্ছে শহরে। এছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না প্রশাসন। বারবার অটো রুট বদলে দেওয়ার ফলে এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে অটো মালিক ও চালকদের রোজগার ধাক্কা খাচ্ছে। সরাসরি টান পড়ছে পেটে। অথচ যানজট সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন রাস্তা জুড়ে থাকা অবৈধ পার্কিং তোলার কাজে হাত দিচ্ছে না প্রশাসন।
কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষে বিকাশ ভট্টাচার্য সহ রণজিৎ সাহা, মলয় দাশগুপ্ত, পিন্টুকুমার শীল, প্রদীপ দাসরা বলেন, যানজটের সুরাহায় প্রথমে শহরের প্রেমতলা থেকে অম্বিকাপট্টি পর্যন্ত নো এন্ট্রি জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর জোন বাড়ানো হয়েছিল নাজিরপট্টি পর্যন্ত। এভাবে প্রশাসন একেক করে নো এন্ট্রি জোনকে বাড়াতে বাড়াতে নাজিরপট্টি থেকে ভাওয়াল পয়েন্ট, ভাওয়াল থেকে দেবদূত পয়েন্ট এবং দেবদূত থেকে ক্যাপিটাল পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে আসে। ফলে কার্যত অটো রুট অর্ধেকটাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন শিব কলোনি চণ্ডীচরণ রোড পয়েন্ট থেকে অম্বিকাপট্টি পর্যন্ত নো এন্ট্রি বাড়িয়ে দেওয়ায় অটোরুট পুরোটাই বন্ধ হয়ে গেছে। আর শিব কলোনি চণ্ডীচরণ রোড দিয়ে অম্বিকাপট্টি পর্যন্ত অটো গুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়ায় চালকরা মাঝখানের অংশের কোনও প্যাসেঞ্জার গাড়িতে তুলতে পারছেন না বলে লোকসান হচ্ছে। রুট বদলে দেওয়ায় গাড়ি চালাতে লাগছে বেশি তেল। এমনকি যাত্রীরা ভাড়াও বাড়াতে চাইছেন না। তাই বিকল্প এই রুট বাতিল না হলে চালকরা সমস্যায় পড়বেন।
কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা আরও বলেন, তাঁদের অনুমান, শাসকদলের মদতে একটি রাজনৈতিক চক্র রুট বদলের মাধ্যমে শহর থেকে অটো সরিয়ে দিয়ে কিছু নতুন সিটি বাস চালু করার ষড়যন্ত্র করছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তেমনটা হলে অটো মালিক ও চালকরা নিজেরাই শহর থেকে সব অটো তুলে নিয়ে বরাক নদীতে চিরতরে বিসর্জন দেবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকে অটোচালক ও মালিকদের এই ন্যায্য দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির (সিআরপিসি) সাধন পুরকায়স্থ, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এর আজমল হোসেন চৌধুরী, শিলচর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সুজিত দেবনাথ এবং নেতাজি ছাত্র যুব সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দিলু দাস। আগামী বুধবার যে স্মারকপত্র প্রশাসনকে দেওয়া হবে এতে স্বাক্ষর করবেন এই ব্যক্তিরা।
Comments are closed.