Also read in

Breaking news: Poisonous chemical found in fishes; immediate ban on import

The English version will be uploaded soon.

মাছে বিষাক্ত রাসায়নিক : রাজ্যের বাইরে থেকে মাছ আমদানি নিষিদ্ধ

আগামীকাল থেকে ১০ দিনের জন্য আসামে মাছের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ভাষায় যাকে ‘চালানি মাছ’ বলা হয় তা অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। সংবাদ-মেলে এই খবরটি জানিয়েছেন স্বয়ং শহর উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরবারকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ২৯ শে জুন তারিখে খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের তরফ থেকে পাইকারি বাজার থেকে মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যথোচিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চালানি মাছের নমুনায় বিষাক্ত ফরমালিন থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারে সুনিশ্চিত হওয়ার পরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দশ দিন পর আবার মাছ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হবে। তবে কোন অবস্থায়ই মাছে ফরমালিন থাকতে পারবে না। স্থানীয় মাছের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই।

উল্লেখযোগ্য যে, ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়।

ফরমালিন সাধারণত বস্ত্র শিল্প, প্লাস্টিক, কাগজ, রং, নির্মাণ সামগ্রী ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে, আমাদের দেশে ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে অনৈতিকভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে।

ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফরমালিন আমাদের পেটে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে পেটে ব্যথা, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। অনেকদিন ধরে এই রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণ করলে লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তিও কমে যায়।

এই মুহূর্তে এটাই পরীক্ষিত সত্য যে আমরা এতদঞ্চলের জনসাধারণ এতদিন ধরে যে মাছ গ্রহণ করেছিলেম তা বিষাক্ত ছিল। আমদানি করা মাছ কিছুটা সস্তা হওয়ায় সাধারণ জনগণ বাধ্য হয়ে এই মাছই ক্রয় করছেন অনেক দিন ধরে, ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যতে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

Comments are closed.