Cachar college is lagging behind due to negligence of previous government, says Aminul
কাছাড় কলেজের বর্তমান অবস্থা তথা এর উন্নতিকরনে সরকারি অনুমোদন না পাওয়ার জন্য বিগত সরকারের প্রতিনিধি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র তথা অসম বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর ও শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়। কলেজের ইন্টারনাল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট সেল (আইকিউএসি)র পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় এমনটাই অভিযোগ করলেন এই জনপ্রতিনিধিরা।অ্যাসেসমেন্ট সেলের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই আলোচনা সভায় সাংসদ এবং উপাধ্যক্ষ ছাড়াও কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ শংকর নাথ, ইন্টার কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট সেলের সমন্বয়ক অপূর্ব চক্রবর্তী, গভর্নিং বডির সভাপতি এসবি পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল যখন প্রথমবার শিলচর শহরের কাছাড় কলেজ পরিদর্শন করেছিল তখন মহাবিদ্যালয়টি বি-প্লাস রেটিং অর্জন করতে সমর্থ হয়েছিল। ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো কাউন্সিল কলেজ পরিদর্শন করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কলেজের পক্ষ থেকে এনএসসি’কে আর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলস্বরূপ জাতীয় স্তরের রেটিং থেকে বঞ্চিত হয় এই কলেজ। একইভাবে বিভিন্ন সরকারি অনুমোদনও জোটেনি এই কলেজের।
এই অবস্থায় শিলচরের সাংসদ আক্ষেপ করে বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কলেজের দায়িত্ব কিছু অপরিপক্ক লোকের হাতে থাকায় কলেজটি অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। অথচ শিলচর শহর তথা উত্তরাঞ্চলের এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কাছাড় কলেজের নাম সবাই জানতেন।কিন্তু বর্তমানে এসব ভুলে আগামীতে যাতে কলেজটি ভালো রেটিং অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।এই অবস্থায় কোন দিক দিয়ে কলেজটি পিছিয়ে রয়েছে কিংবা এর উন্নতি করনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনার প্রয়োজন। ছাত্র, শিক্ষক এবং গভর্নিং বডির সদস্যদের অনেক কাজ করতে হবে। শুধু তাই নয়, যারা ইতিমধ্যে এই কলেজ থেকে পাস করে চলে গেছেন তাদেরও ডেকে এনে কলেজের উন্নতির জন্য কাজে লাগাতে হবে।
অসম বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর একই সুরে কথা বললেন। তিনিও সরাসরি অভিযোগ করলেন পূর্ববর্তী সরকার এবং কলেজের গভর্নিং বডিকে উদ্দেশ্য করে। তাদের দিকে তীক্ষ্ণ অঙ্গুলি নির্দেশনে তিনি সরকারি অনুমোদন এবং জাতীয় স্তরের রেটিং হারানোর জন্য পূর্ববর্তী সরকারের প্রতিনিধি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলেন। তিনি এই কলেজের ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করে বললেন যে কোনদিন এভাবে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সফল হতে পারবেন বলে তিনি ভাবেননি। কাজেই রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজের কলেজে ফিরে এসে তিনি আনন্দ বোধ করছেন।কলেজের যেকোনো সমস্যায় তিনি পাশে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। কলেজের উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য তিনি আবেদন জানান।
এই দুই বক্তা ছাড়াও কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ বক্তব্য রাখেন। কাছাড় কলেজের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এখন প্রায় মিটে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।এই অবস্থায় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আগামীতে কলেজটি রাজ্য তথা দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।তাছাড়া গভর্নিং বডির সভাপতি এসবি পাল, ইন্টার কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট সেলের সমন্বয়ক অপূর্ব চক্রবর্তী, কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ শংকর নাথ তাদের বক্তব্যে কলেজের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
Comments are closed.