Candle march in Silchar tomorrow to protest against inadequate medical facilities in Silchar
চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে শিলচরের যুবক সায়ন্তন চক্রবর্তীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শিলচরে বের হচ্ছে বিরাট মিছিল । তার মৃত্যুর পর অনেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। শুক্রবার বিকেলে তারা সবাই মিলে শহরের রাস্তায় নামবেন এবং চিকিৎসা পরিষেবার গাফিলতির বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলবেন।
তার পরিচিত বন্ধুবান্ধব এবং শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বৈঠকের আয়োজন করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিকেলে চারটের সময় বানীপাড়া থেকে শোভাযাত্রা শুরু হবে এবং শহরের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে হাঁটবে। এতে অংশ নেবেন শহরের যুব সমাজের সদস্য সহ প্রত্যেক স্তরের মানুষ।
Also read: 25-Year-Old Sayantan Succumbs To Cardiac Arrest; SMCH Could Not Facilitate Angioplasty
আয়োজকদের তরফে কুলদীপ চৌধুরী এবং কুশল দত্ত জানান, মেডিক্যাল কলেজের মতো একটি বড় চিকিৎসালয় শুধুমাত্র জ্বর সর্দি-কাশির চিকিৎসার জন্য রাখা হবে? আর এদিকে একটু বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হলেই সাধারণ মানুষকে হয় বাইরে যেতে হবে বা রাস্তায় মৃত্যুবরণ করতে হবে?
উল্লেখ্য, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ অচল থাকায় প্রাণ হারায় ২৫ বছরের যুবক সায়ন্তন চক্রবর্তী। দশমীর সকালে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় শিলচর বাণী পাড়ার যুবকটি। তৎক্ষণাৎ তার এনজিওপ্লাস্টি করার প্রয়োজন ছিল কিন্তু সেটা হয়নি, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ বা উপত্যকার অন্যান্য কোনও হাসপাতালে এই ব্যবস্থাটি নেই। ডাক্তারদের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা তাকে তড়িঘড়ি শিলংয়ের নিগ্রিমসে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলেও রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
শহরের প্রতিভাবান যুবকের এধরনের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য অনেকেই সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দিকে আঙুল তুলেছেন। অনেকেই বলছেন, আমরা দেখলাম অষ্টমীর দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণ্ডপগুলো ঘুরে বেড়ালেন এবং তার সঙ্গ দিলেন শহরের তাবড় নেতারা। এতে আমাদের আপত্তি নেই এটা অত্যন্ত ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু এর থেকে প্রয়োজনীয় কাজ ছিল শিলচর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে এর সমস্যা গুলো খুজে বের করা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শহর ঘুরে যাবেন অথচ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের খবর রাখবেন না। এই হচ্ছে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের কাজের নমুনা। এধরনের গাফিলতি শহরের মানুষ আর মেনে নেবে না। সায়ন্তন চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর আমাদের সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত, যাতে করে আর কোন সায়ন্তনকে অসময়ে চিকিৎসার অভাবে চলে যেতে না হয়। তাই নিশ্চিত,এবার জোরালো আওয়াজ উঠবে।
Comments are closed.