Also read in

Centenary celebration of Atmasthanandaji Maharaj at Silchar

রামকৃষ্ণ সংঘের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শিলচরে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারি রবিবার সার্কিট হাউস রোডের আশীর্বাদ বিবাহ ভবন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে। শ্রীমৎ স্বামী আত্মস্থানন্দজী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি, শিলচর শাখার দ্বারা আয়োজিত একদিনের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে মহারাজরা আসছেন। বৃহস্পতিবার শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে উদযাপন সমিতির সদস্যরা তাদের আয়োজনের কথা জানান।

সকাল সাতটায় শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ দেব, শ্রীমা সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের বিশেষ পূজার মধ্যে দিয়ে দিনটি শুরু হবে। সকাল আটটায় বৈদিক মন্ত্র পাঠ, তারপর থাকবে উদ্বোধনী সংগীত ও স্বাগত ভাষণ। ৯টা থেকে শুরু হবে ধর্ম আলোচনার প্রথম পর্ব। এতে বক্তা হিসেবে থাকছেন কলকাতার কাঁকুড়গাছির যোগদান রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী বিমলাত্মানন্দজি মহারাজ, লখনউ রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী মুক্তিনাথানন্দজি মহারাজ, শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের সম্পাদক স্বামী গণধীশানন্দজি মহারাজ এবং শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের আরেক মহারাজ স্বামী বৈকন্ঠানন্দজি। সকাল ১১টায় সঙ্গীতাঞ্জলি, এতে মেঘরাজ চক্রবর্তী, গার্গী দেব এবং অনিমেষ দেব সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ। সাড়ে বারোটায় পালাকীর্তন, এতে অনুসূয়া মজুমদার ও সম্প্রদায় থাকবেন। বিকাল তিনটায় ধর্ম আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব। এতে থাকছেন বাগবাজার রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী নিত্যমুক্তানন্দজী মহারাজ, ইম্ফল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী নরেশানন্দজি মহারাজ, করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক প্রভাসানন্দজি মহারাজ এবং রামকৃষ্ণ মিশন টিবি সেনেটোরিয়াম রাঁচির পক্ষে স্বামী সৎসঙ্গানন্দ মহারাজ। সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি এবং সংঙ্গীতাঞ্জলির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হবে। এতে শিল্পী অমরেন্দ্র চক্রবর্তী, সুমনা পাল চৌধুরী, রথীন চক্রবর্তী এবং মঞ্জুশ্রী দাস সংগীত পরিবেশন করবেন।

আত্মস্থানন্দজী মহারাজের জীবনী এবং রামকৃষ্ণ মিশনে তার অবদানের ব‍্যাপারে আয়োজকরা বলেন, আত্মস্থানন্দজী মহারাজ মহাপ্রভু চৈতন্যদেব এবং বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর বংশধর। তার পরিবারের পাঁচজন সন্ন্যাসী। তিনি ছাড়া তার তিন ভাই এবং বোন আজীবন সন্ন্যাসী হয়ে কাটিয়েছেন। রামকৃষ্ণ সংঘের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ হওয়ার আগে তিনি ১৯৯২ সালে মঠের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মনোনীত হন। ১৯৯৭ সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত হন এবং দীক্ষা দিতে শুরু করেন। ২০০৭ সালে সংঘের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ১৮ জুন তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তার কার্যকালে দুইবার শিলচরে এসেছেন। এখানে তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন এবং তাদের উদ্যোগেই শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে।

Comments are closed.