Commission silently closed the Khadi division office in Silchar
বরাক উপত্যকা থেকে খাদি ও গ্রামোদ্যোগ সংস্থার শিলচর ডিভিশন কার্যালয় গৌহাটিতে তুলে নিয়ে গেল খাদি কমিশন। কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি ডিমা হাসাও সহ কার্বি আংলং জেলা নিয়ে কাজ করতো খাদি বোর্ডের এই শিলচর ডিভিশনাল অফিস।
গত ২৪ ডিসেম্বর কেভিআইসি’র ডিরেকটর ডঃ সঞ্জীব রায় এক সরকারী নির্দেশনামায় শিলচরের ডিভিশনের অফিস বন্ধ করে দিতে বলেছেন, সেই সঙ্গে অফিসটিকে গুয়াহাটির স্টেট অফিসের সঙ্গে সংযুক্তি নির্দেশও রয়েছে এতে । নির্দেশটি কার্যকরী হচ্ছে ১ জানুয়ারি, ২০১৯ থেকে অর্থাৎ ইতিমধ্যে কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। শিলচরের পঞ্চায়েত রোডে থাকা এই অফিস ঘরের মালিক নজরুল ইসলাম বরভূঁইয়াকে তার ঘর সমঝে নিতে বলা হয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে শিলচর ডিভিশনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পারদর্শীতা থাকা সত্বেও কেন তা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে! শিলচরের শরিফুজ্জামান লস্করের প্রচেষ্টায় ২০১২ সালে কেভিআইসির এই অফিস সাব অফিস থেকে ডিভিশন অফিসে উন্নীত করা হয়েছিল। ২০১৩-১৪ সালে পরপর দুবার আন্তর্জাতিক খাদি মেলা ও করা হয় শিলচরে। মাসব্যাপী চলা এই বিশাল আয়োজন থেকে বহুল প্রচারও হয় খাদির। ২০১৪ সালে শরিফুজ্জামান খাদি কর্মকর্তার পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই ক্রমশ গুরুত্ব হারাতে থাকে শিলচরের খাদি অফিস।
উল্লেখ্য, কার্যালয়টি এখানে থাকায় বেকার যুবক-যুবতীরা নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে স্বনির্ভর হয়েছেন। তাই আচমকা কার্যালয়টি শিলচর থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য যখন সরকার তৎপর, তখন কেন শিলচর থেকে খাদি কমিশনের ডিভিশন অফিস বিনা নোটিশে তুলে নেওয়া হল! বরাকের জনগণ একে বরাকের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ বলেই ধরে নিয়েছেন।
Comments are closed.