Commited to pass Citizenship ammendment Bill, asserts PM in Ramnagar Rally
“আমার সকল প্রিয় বন্ধুগণ , সবাইকে নমস্কার, শিলচরের সবাইকে জানাই আমার প্রণাম” বাংলা ভাষায় এই কথাগুলো বলে রামনগরে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী তার আজকের ভাষণ। তারপরই তার স্বভাব সিদ্ধ হিন্দিতে চালিয়ে গেলেন ভাষণ। শিলচর এবং করিমগঞ্জের সব সাথীকে রঙালি বিহু এবং পহেলা বৈশাখের শুভকামনা জানিয়ে শুরু করেন তার বক্তব্য। কাঁচাকান্তি দেবী, মদনমোহনের কৃপা সবার উপর বর্ষিত হওয়ার কামনা করেন তিনি।
নাগরিকত্ব বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনতে চান জনতা, এটা বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী নাগরিকত্ব বিল রূপায়নের আশ্বাস দিলেন আবার। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, যারা মন্দির এবং গুরুদুয়ারাতে যেতেন সেরকম বেশির ভাগ লোক পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের শরণাপন্ন হয়েছেন। কংগ্রেসের পাপ ওদেরকে নিজের দেশেই দেশহীন বানিয়ে দিয়েছে, ওদের অস্তিত্বের সংকট নিয়ে এসেছে । আজও পাকিস্তানে মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে ধর্মের নামে।
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করতে আমরা দায় বদ্ধ। আমরা সমাজের সবার সাথে কথাবার্তা বলে, সবার স্বার্থ বিচার বিবেচনা করে নাগরিকত্ব বিল সংশোধন করা হবে, যাতে কারোর প্রতি কোন অন্যায় না হয়। অসমিয়া ভাই-বোনেদের পরিচিতি পুরোপুরি সুরক্ষিত রেখে এই নাগরিকত্ব বিলে সংশোধনী আনা হবে।
এই নির্বাচন স্থির করবে ভারতে এক প্রধান, এক বিধান, এক সংবিধান চলবে, না টুকরো টুকরো গ্যাং দেশ শাসন করবে। তিনি পরোক্ষে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন,এই নির্বাচন স্থির করবে দেশে ১৩০ কোটি জনগণের বিকাশ হবে, না একটি পরিবারের বিকাশ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ২০২২ পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক গরিব নিজের পাকা ঘর পাবেন। কৃষকদের আয় ২০২২ পর্যন্ত সুনিশ্চিতভাবে দ্বিগুণ হবে। কৃষকদের ক্ষেতের জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হবে।
আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পতে কংগ্রেস এত বছর নজর দেয়নি।তবে এখন কেন্দ্র এবং আসাম সরকার চা শিল্পের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই চা জনজাতি লোকদের দুই কিস্তিতে পাঁচ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। চা বাগানের চার লক্ষ জনগণকে বিনামূল্যে চাল এবং ২ টাকা মূল্যে চিনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত এনডিএ সরকারেরই।
এইগুলো রূপায়িত হবে কিনা তা জনগণের ভোট ঠিক করে দেবে এবং সময়ই বলে দেবে।
আসামের সব জনগণ গত বছরের চেয়েও এবার চৌকিদারকে আরো অনেক বেশি শক্তি প্রদান করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস। তিনি জানান যে শিলচর এবং করিমগঞ্জের প্রতিটি ভোট মোদিকে শক্তি যোগাবে।
ভাষণের শেষভাগে প্রধানমন্ত্রী ‘মে ভি…. বলার সাথে সাথে বিশাল জনতা ‘চৌকিদার’ ধ্বনি তোলে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলেন।
বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ প্রদান শেষে প্রধানমন্ত্রী বিরাট মঞ্চে আসীন সবার সাথে হাতে হাত রেখে সংকল্প সমাবেশের সমাপ্তি করেন।
এদিনের সমাবেশে মুখ্য আকর্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ, মন্ত্রী ও বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, শিলচর ও করিমগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী সহ বিজেপির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
Comments are closed.