Also read in

Covid Protocol: Additional 360 polling stations in the district, campaign will be in 52 specified fields

শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন রাজ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। তিনটি পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে বরাক উপত্যকার ১৫ টি আসনে ১লা এপ্রিল নির্বাচন হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা মাথায় রেখে এবার নির্বাচনে প্রত্যেক পোলিং বুথে সর্বাধিক ভোটারের সংখ্যা রাখা হয়েছে এক হাজার। যেসব পোলিং স্টেশনে এক হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন, সেখানে ৫০০ মিটারের মধ্যে অতিরিক্ত সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে, ফলে এবার পোলিং স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, ৩৭০টি অতিরিক্ত পুলিশ স্টেশন গড়ে উঠেছে এবং মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৩৪।

এছাড়া এবার নির্বাচনের প্রচারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫২টি মাঠ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই নির্বাচনী প্রচার সভায় আয়োজন করা যাবে। এবছর নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দীদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখবে প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলে সেটা পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্টের আওতায় গন্য করা হবে। এসবের পেছনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।

শনিবার সকালে কার্যালয়ে এক বৈঠক আয়োজন করে নির্বাচনের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তারা জানান, জেলায় মোট ১২, ৫৭, ৪৫৯ জন ভোটার রয়েছেন। ৫ মার্চ জেলার প্রতিটি আসনের জন্য নোটিফিকেশন জারি হবে, ১২ মার্চ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ করছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১লা এপ্রিল নির্বাচন এবং গণনার দিন নির্ধারিত হয়েছে ২রা মে। এবার নির্বাচনে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছু অতিরিক্ত নিয়মাবলী রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রচারের জন্য খরচের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। কোনও সরকারী কার্যালয়ে নির্বাচনী প্রচারের পোস্টার লাগানো যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বীরা সুবিধা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন তবে তাদের নথিপত্র অফলাইনে পাঠিয়ে দিতে হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সর্বোচ্চ ১০টি গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা, তবে দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যালয়ে কেবলমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সঙ্গে একজন লোক যেতে পারবেন। নির্বাচনের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে কোভিড প্রটোকল মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক ভোটদাতাকে মাস্ক পরে ভোট কেন্দ্রে আসতে হবে। সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে, এবার ভোট গ্রহণের সময়সীমা এক ঘন্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলায় মোট ৩৪টি কেন্দ্রকে সংবেদনশীল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, তবে অত্যন্ত সংবেদনশীল কেন্দ্র একটিও নেই।

প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বীর সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাদের কার্যকলাপ খুব কাছ থেকে মনিটর করবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

জেলায় মোট ১৩ হাজার বিকলাঙ্গ এবং ৮০ বছরের বেশি ভোটার রয়েছেন। তাদের সুবিধার্থে ৩০০টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। যদি তারা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তাহলে ৫ মার্চ থেকে শুরু করে পাঁচ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ১২-ডি ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং শুধুমাত্র আবেদনকারীদের ভোট দিতে দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের বাড়ি থেকে গিয়ে ভোট সংগ্রহ করবেন বিশেষ আধিকারিকরা। পুরো প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ড করে রাখা হবে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।

বৈঠকে জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান, ডিডিসি জেসিকা রোজ লালসিম এবং অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান ভোটদাতাদের সুবিধার্থে একটি বিশেষ টোল-ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে, নম্বরটি হচ্ছে ১৮০০৩৪৫৩৫১৬। সাধারণ মানুষ এই নম্বরে ফোন করে নিজেদের প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন।

Comments are closed.