Dead body recovered from Ghungoor bye pass identified
গত ১৮ই জনুয়ারি সকালে ঘুঙ্গুর বাইপাস থেকে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এতদিন পর পরিচয় মিলল সেই অভাগা যুবতীর, মেয়েটির নাম মাম্পি দাস।
মেয়েটির পৈতৃক নিবাস কাটিগড়া অঞ্চলে। বিয়ে হয়েছিল শিলচরের চাঁদমারির মালিনী বিল এলাকায়। বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার শিলচরে এসে হাজির হন ওর মা মনিকা বৈষ্ণব এবং ভাই সঞ্জয় বৈষ্ণব।
মালিনী বিলের কুলবাসি দাসের সাথে প্রায় এক বছর আগে মাম্পির বিয়ে হয়েছিল, বিয়ের পর থেকেই সংসারে নানা অশান্তি ছিল বলে মাম্পির মা এবং ভাই জানিয়েছে। কয়েকদিন ধরে ওর মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মাম্পির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন কিন্তু সম্ভব হয়নি। মাম্পির স্বামী কুলবাসিকে ফোন করেও কোনো সদুত্তর পাননি তারা। অবশেষে বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে শিলচরে এসে সেই মৃতদেহের ছবি দেখে সনাক্ত করেন তারা। এই বিষয়ে শিগগিরই একটা এজাহার দেবেন বলে জানিয়েছেন মাম্পির মা এবং ভাই। ঘুঙ্গুর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মৃত দেহের বিভিন্ন ছবি দেখে মাম্পিকে সনাক্ত করেন তারা।
এখানে উল্লেখ্য, ৭২ ঘণ্টা মর্গে রাখার পর পোস্টমর্টেম করে প্রশাসনের তরফ থেকে মৃতদেহের সমাধি দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
এ শহরেরই মালিনী বিল অঞ্চলে বসবাসকারী মাম্পির স্বামী কুলবাসী এই ঘটনাক্রম সম্পর্কে নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল। এই অবস্থায় তার নীরব ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতার সঠিক পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে তারা পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
Comments are closed.