Dilip Paul might withdraw his nomination hints Rajdeep; Paul laughs
মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন দিলীপ পাল, ইঙ্গিত রাজদীপের; দিলীপ বললেন ‘হা হা হা’
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রদেশ কমিটিকে সঙ্গে রেখে দিলীপ কুমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর যেসব অভিযোগ ছিল, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার পাশাপাশি দলের বৃহত্তর উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ১৬ মার্চ তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন কেননা এর পরের দিনই মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ। আমাদের বিশ্বাস, তিনি দলের কথা ভেবে নির্বাচনে লড়বেন না, এমনটাই বললেন সাংসদ রাজদীপ রায়। রবিবার বিকেলে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কথাগুলো বলেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর করিমগঞ্জ সফর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বরাক সফর ইত্যাদি নিয়ে নানান কথা বলেন তিনি।
প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কথা বলেন রাজদীপ রায়। তিনি জানান, ১৮ মার্চে উত্তর করিমগঞ্জের ভাটগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে। এতে সঙ্গে থাকবেন নেডার আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ অন্যান্য নেতারা। তবে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না সর্বানন্দ সোনোয়াল। এই সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একইসঙ্গে সভা হচ্ছে, ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিমন্ত এবং সর্বানন্দ একসঙ্গে কোনও সভায় যাবেন না। এছাড়া ২৩ মার্চ বরাক উপত্যকায় আসবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি শিলচর, বড়খলা এবং কাটলীছড়ায় সভা করবেন।
রাজদীপ রায় দলের প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক। দিলীপ কুমার পাল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি এত বড় দল এখানে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, এতে মনোমালিন্য হতেই পারে। দিলীপ কুমার পাল মনোক্ষুন্ন হয়েছেন এবং নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় এবং প্রদেশ নেতৃত্বের তার সঙ্গে কথা হয়েছে এবং সেখান থেকে সাকারাত্মক উত্তর পাওয়া গেছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ১৬ মার্চের কাছাকাছি দিলীপ কুমার পাল তার সিদ্ধান্ত জানাবেন, তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, আমরা আশাবাদী। তার মতো একজন ব্যক্তি যদি দলের সঙ্গে থাকেন, এতে আমাদের লাভ। আজ দল তাকে টিকিট দেইনি সত্যিই, কিন্তু বিজেপির টিকিটে তিনি দুবার শিলচর পুরসভার সদস্য হয়েছেন এবং দুবার বিধায়ক হয়েছেন। পাশাপাশি তাকে রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ করা হয়েছিল।”
সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে রাজদীপ বলেন, “যদি কেউ অভিযোগ করে থাকেন তাহলে আমার বিশ্বাস, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমে এভাবে মুখ না খুলে আইনের দ্বারস্থ হলে ভালো হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি, গত পাঁচ বছরে প্রত্যেক ক্ষেত্র থেকে কর বেশি এসেছে তার মানে কোন ধরনের কোনো ব্যাপার ছিল না তাই অপরাধমূলক কাজ হয়নি।”
সাংবাদিক সম্মেলনে যেহেতু দিলীপ কুমার পালের প্রসঙ্গ উঠেছে, ফলে আমরা তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বিজেপিতে ফেরার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি শুধু বলেন ‘হা হা হা’। এছাড়া কোনো মন্তব্য না করলেও বিদ্রূপাত্মক হাসি বুঝিয়ে দিয়েছে তার অবস্থান।
Comments are closed.