Also read in

Dramatic turn, to suppress the rebellion Hailakandi congress appoint Abdul Kaiyum as Karyakari President.

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দাবিতে হাইলাকান্দি কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বৃহস্পতিবার ধর্নার হুঙ্কার দিতেই শুক্রবার অত্যন্ত নাটকীয় কূটচাল দিলেন হাইলাকান্দি জেলাকংগ্রেস সভাপতি রাহুল রায় । দলীয় পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াতের হাইলাকান্দি সফরের মুখে নিজের ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আব্দুল কায়ুম মজুমদারকে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি পদে বসিয়ে দিলেন গৌতম রায় তনয় রাহুল রায়।

বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা হিলাল উদ্দিন, আনাম উদ্দিন, জয়নাল উদ্দিন, রুকন উদ্দিন প্রমুখ রাহুল রায়ের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামার হুংকার দিয়েছিলেন। আর এই ঘোষণার পর থেকেই চিত্রপট বদলাতে থাকে । তড়িঘড়ি কার্যকরী সভাপতি পদে নিজের ঘনিষ্ট আব্দুল কাইয়ুম মুকুটকে কার্যকরী সভাপতি পদে নিয়ুক্তি দিয়ে দেন রাহুল রায়।

বিগত ক’মাস থেকে রাহুল রায় ইস্যুতে হাইলাকান্দি জেলাকংগ্রেস কার্যত দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে আছে । একজন সংখ্যালঘু নেতাকে জেলাকংগ্রেসের সভাপতি পদে বসানোর দাবিতে রাহুলবিরোধী শিবিরের নেতারা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। ইতিপুর্বে দুই শিবিরের মধ্যে এনিয়ে সংঘাত পর্যন্ত হয়েছে হাইলাকান্দি কংগ্রেস ভবনে। এহেন পরিস্থিতিতে আগামী ১ নভেম্বর হাইলাকান্দি সফরে আসছেন কংগ্রেসের অসম রাজ্যের পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াত। রাওয়াতের হাইলাকান্দি সফরের দিন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর নেতারা জেলাকংগ্রেস ভবনের সামনে ধর্ণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা, প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য আনাম উদ্দিন লস্কর ও হিলাল উদ্দিন লস্কর অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস ভবনের সামনে তাদের ধর্না কার্যসুচীর ব্যাপারে জেলাশাসক এবং পুলিশসুপারকে অবহিত ও করেছেন।

বিদ্রোহীদের এই যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি হাইলাকান্দি ছুটে এসেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী আবু সালেহ নিজাম উদ্দিন। তিনি হাইলাকান্দি এসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা কংগ্রেসের দুই শিবিরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আবু সালেহ নিজাম উদ্দিন হাইলাকান্দি আসতেই বিদ্রোহীদের দমাবার কৌশল অবলম্বন করেন রাহুল রায়। এদিন আবু সালেহ কংগ্রেস ভবন থেকে চলে যেতেই জেলাকংগ্রেস সভাপতি রাহুল রায় জেলাকংগ্রেসের কার্যকরি কমিটির সভা ডাকেন। এই সভাতে তিনি বিদ্রোহীদের দাবি মেনে পদত্যাগ করতে চাইলে সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সেলের নেতা এবং মন্ডল কমিটির কর্তারা এতে তীব্র আপত্তি জানান। তারা রাহুল রায়কে জেলাসভাপতি রাখার দাবিতে অনড় থাকেন । তারপর রাহুলবাবু বিদ্রোহীদের দাবি অনেকটা মেনে নিয়ে একজন সংখ্যালঘু নেতাকে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। রাহুল রায়ের এই প্রস্তাব সর্বসন্মতভাবে সভায় গৃহীত হয়। তারপর সর্বসন্মতভাবে জেলাকংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম মজুমদারকে জেলাকংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, আব্দুল কাইয়ুম হচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল মুহিব মজুমদারের ভ্রাতুষ্পুত্র। এদিকে জেলাকংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি পদে একজন সংখ্যালঘু নেতাকে বসানোর ব্যাপারকে পাত্তা দিতেও রাজি নন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতারা । তারা তাদের রাহুল হটাও অভিযান অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান। । প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য আনাম উদ্দিন লস্কর জানান তাদের লড়াই জেলাসভাপতির পদ থেকে রাহুল রায়কে সরানো নিয়ে । এক্ষেত্রে কার্যকরি সভাপতি পদে কাকে বসানো হল এনিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই ।

Comments are closed.

error: Content is protected !!