Eviction in Rajanikhal, Dholai : 82 families in dismay
প্রশাসনিক সহায়তায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে ধলাইর রজনীখালে আজ উচ্ছেদ অভিযানে নামছে রাজ্যের বন বিভাগ। ১৫টি হাতি, ৫টি এক্সকেভেটর নিয়ে সকালেই এগিয়ে যাবে পুলিশ, বনবিভাগ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, এএফপিএফের পাঁচশোর ও অধিক জওয়ান আধিকারিক। সাথে থাকবে, মহিলা পুলিশ এবং ৬টি অ্যাম্বুলেন্স ও, থাকবেন চিকিৎসকের দল।
এই অভিযানের রণনীতি চূড়ান্ত করতে গতকাল শিলচরের ডিএসপি হেডকোয়ার্টার এ জে বড়ুয়া, ধলাই থানার অফিসার ইনচার্জ ভার্গব বরা, পুলিশ ও জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ধলাই রেঞ্জার মজিবুর রহমান চৌধুরীর উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।
এদিকে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের ‘সাজো সাজো’ রবের মধ্যেও রজনী খালের মাটি কামড়ে থাকার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীরা, ঘুরছেন নেতা-মন্ত্রীদের দুয়ারে দুয়ারে। তাদের দাবি, গত ৪০ বছর ধরে তারা এখানে বসবাস করছেন; তাই ভিটেমাটি ছেড়ে সরে যাওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। প্রশাসনের হুংকার দেখে কয়েকজন ইতিমধ্যে ঘরবাড়ি ভেঙে জিনিসপত্র নিয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। তবে বেশিরভাগ লোকেরই ‘শেষ দেখে ছাড়ব’ বলে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন।
এই উচ্ছেদ অভিযানের শেকড় রয়েছে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের এক ঘটনায়। প্রায় চার দশক ধরে ৫০০ জনের ও বেশি লোক এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বাস করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী পাহাড়ি এলাকায় ঘাঁটি গাড়ে । এরাই ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে রামপ্রসাদপুরের রূপম পাল নামক এক অটো চালককে অপহরণ এবং পরে খুন করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বসবাসরতদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর দাবি পেশ করে। গত ২১শে মে এক সপ্তাহের সময়সীমা ধার্য করে বন বিভাগ পরিবার গুলোর হাতে উচ্ছেদ নোটিশ ধরিয়ে দেয়।
এদিকে, উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে সিপিএমের কাছাড় জেলা কমিটি ও ভারতীয় কৃষক শ্রমিক সমিতির কাছাড় জেলা কমিটি। তাদের দাবি, এই পরিবারগুলো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ও লাভ করেছেন। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে এদের উচ্ছেদ করাটা অমানবিক পদক্ষেপ।
Comments are closed.