Also read in

Eviction in Rajanikhal: Sushmita Deb meets affected people

ধলাই এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল হাওয়াইথাংয়ের রজনীখাল থেকে উচ্ছেদ হওয়া ৮১টি পরিবারের মধ্যে যাদের কোন ঠাই নেই তেমন অনেক লোক এখনো খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছেন। যা কিছু বেসরকারি সাহায্য মিলেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় নেহাতই অপ্রতুল।

দিল্লি থেকে ফিরেই প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দর থেকে সোজা গিয়ে পৌঁছলেন সেই দুর্গতদের কাছে, হাঁটতে হলো প্রায় দুই কিলোমিটার। সুস্মিতা দেবকে কাছে পেয়ে উচ্ছেদ হওয়া পুরুষ ও মহিলারা জানালেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি দলের লোকেরা তাদের হুমকি দিয়েছিল, যদি ভোট বিজেপির পক্ষে না যায় তবে এই সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে চলে যেতে হবে এবং এটাই ঘটলো ৬ জুন। ভেঙ্গে দেওয়া হলো মসজিদের ইমামের ঘর, ভেঞ্চার স্কুল, কেটে ফেলা হলো দশ হাজার সুপারি গাছ । আজ তারা অর্ধাহারে-অনাহারে খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করছেন।আবার বিজেপি কর্মী হওয়ার সুবাদে মশরফ আলীর ঘর ভাঙ্গা হলো না।


সবকিছু শুনে কোন রাখঢাক না রেখেই প্রাক্তন সাংসদ আক্রমণ করলেন প্রশাসন এবং সরকারকে। সুস্মিতা দেব বলেন, এনআরসি’তে নাম উঠেছে, ভোট দিচ্ছেন, সরকারি রেশন কার্ড আছে, জব কার্ড আছে, ১১ জন ইন্দিরা আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন, দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ বিদ্যুৎ যোজনার অধীনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে, মনরেগার অধীনে গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এখন এই ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি সরকার এবং প্রশাসনের কি কোন কর্তব্য দায়িত্ব বোধ নেই।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দোহাই দিয়ে তাদের প্রতি অমানবিকতা করা হচ্ছে। মাত্র সাত দিনের নোটিশে চার দশক ধরে বাস করে আসা লোকেরা কি করে নতুন আস্তানা খুঁজে নেবে। এই নিয়ে বুধবার জেলা প্রশাসনের সাথে দেখা করবেন, জানাবেন সুস্মিতা দেব।

সুস্মিতা দেবের সাথে ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ মজুমদার, রাজেশ দেব ও সূর্যকান্ত সরকার; নরসিংপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রাজেন পালিত, প্রীতম দাস, আলতাফ হোসেন লস্কর রাজদীপ পাল প্রমুখ।

Comments are closed.