Facebook post : Congress worker Parthasarathi gets bail, Souradeep case will be heard tomorrow
কংগ্রেস কর্মী পার্থসারথি রায়ের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। পাঁচ দিন পর সোমবার জামিন মঞ্জুর করা হয়।এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে ফেসবুকে উত্তেজনা মূলক পোস্ট দেওয়ার জন্য কংগ্রেস কর্মী পার্থসারথি রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অন্যদিকে সহকারি শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্ত এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তিনিও ফেসবুক পোস্টের জন্যই গ্রেফতার হয়েছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শিলচরে সৌরদীপের জামিনের জন্য শুনানি গ্রহণ করা হবে।
ফেসবুক পোস্টে কংগ্রেস সদস্য পার্থসারথি রায় আরএসএস’কে দায়ী করেছিলেন দিল্লির দাঙ্গার জন্য। তিনি তার পোস্টে আরএসএস কর্মীদের দাঙ্গায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন এবং তারা মুসলমানদের এক এক করে হত্যা করবে বলেও উল্লেখ করেন।এই অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয় এবং এ বিষয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পার্থসারথি রায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সতীন্দ্র মোহন দেব সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ যে তিনি ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন। গ্রেফতারের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট আইনজীবী অসমঞ্জ বিশ্বাস আদালতে আবেদন পেশ করেন।২৯৫ (এ), ১৫৩ (এ), ৫০৭ আইপিসি এবং ৬৬ আইটি অ্যাক্টের আওতায় তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়।আদালতের পক্ষ থেকে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনা হয় এবং অভিযুক্তকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি গ্রহণ করা হবে বলে জানা যায়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গণহত্যাকারী আখ্যা দেন শিলচর গুরুচরণ কলেজের অতিথি শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্ত। শুধু তাই নয় ‘সনাতন ধর্ম মাই ফুট’, ‘আরএসএস-বিজেপি দিল্লিতে গোধরা কান্ডের পুনরাবৃত্তি করছে’ বলে তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন। কলেজের ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে মামলা করে। তাছাড়া প্রায় ৪০ জন ছাত্র তার বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে পরিবারের লোকজন সৌরদীপকে নিয়ে থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
Comments are closed.