
Foreigners' Tribunal serving notices in Cachar amidst pandemic; activists fume
অতিমারির সময়েও কাছাড়ে বিদেশি নোটিশ, ক্ষোভ মানবাধিকার সংস্থার
কাটিগড়ার সুশীল মালাকার, মঞ্জুরাম মালাকার, আরতী মালাকার, শিলচরের প্রমিলা দাস, শ্যামলাল দাসেরা এই করোনা কালে ও বিদেশি নোটিশ পেয়ে একেবারে দিশেহারা। এরকম বিদেশি নোটিশ বরাক উপত্যকার অনেকেই পাচ্ছেন। এই নিয়ে এক ক্ষোভ প্রকাশ করল বরাক হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন কমিটি। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারকে একহাত নেন মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা।
বরাক হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী নীলাদ্রি রায় সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, অনেক তর্ক বিতর্ক, বাদ বিবাদ-বিসংবাদের পর আইনে পরিণত হয়েছিল নাগরিকত্ব বিল। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর ২২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি এই বিলে স্বাক্ষর করেন, এরপর গেজেট নোটিফিকেশন ও দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু যারা এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা, তারাই এখন ফরেনার্স ট্রাইবুন্যাল থেকে বিদেশি নোটিশ পেয়ে দিশেহারা অবস্থায়। শিলচরের ৩ নং এবং ৪ নং ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল থেকে কাছাড় জেলার পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিদেশি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সবকটি নোটিশ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই নাগরিকত্ব আইনের সুবিধা ভোগ করছেন জনগণ। কিন্তু আসাম সরকার নাগরিকদের সাথে দ্বিচারিতা করছেন।
বরাক হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি আইনজীবী ধ্রুবকুমার সাহা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যেভাবে সবকিছু গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে তারা সরব হবেন; আইন যখন হয়েছে তখন তা কার্যকর করতেই হবে। বিদেশি নোটিশ কেন ইসু করা হচ্ছে, তা জানাতে সোমবার সরকারের কাছে স্মারকপত্র পাঠানো হবে, বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানানো হবে। তিনি কেন্দ্রীয় সচিবের কাছে অবিলম্বে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের রুলস তৈরি করার দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ দেব, অমিয়ভূষণ চৌধুরী এবং সুপর্ণা দত্ত চৌধুরী।
Comments are closed.