Also read in

Former BDO of Silchar block, Madhab Roy passes away

কোভিড নাকি হৃদরোগ! সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে, কোভিড পজিটিভ হিসেবেই অকালে চলে গেলেন শিলচর ডিআরডিএ’র প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার মাধব রায়। তিনি একসময় শিলচর, বড়জালেঙ্গা, বড়খলা ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিডিও ছিলেন। বর্তমানে তিনি হাফলংয়ে প্ল্যানিং এন্ড স্ট্যাটিসটিকস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

শিলচর মেডিকেল কলেজে বুধবার এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে; মেডিকেল কলেজের শৌচালয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রয়াত মাধব রায় মঙ্গলবার গুয়াহাটি থেকে শিলচর চাঁদমারি এলাকায় তার নিজস্ব গৃহে আসেন। বুধবার সকাল থেকে শরীরে কিছু অস্বস্তি বোধ করায় বিকেলের দিকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ পিসি শর্মাকে দেখান, ডক্টর শর্মা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাকে প্রথমে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কোভিড টেস্ট করার পর তার ফল পজিটিভ আসে । এরপর তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাধব রায়কে চিকিৎসাধীন রেখে তার বড় ভাই দু- একটা দরকারি জিনিস আনতে মেডিকেল কলেজের বাইরে যান।

ফিরে এসে ভাইয়ের সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করতে অক্ষম হন। সাথে সাথে, খোঁজাখুঁজি শুরু হয়, মেডিকেল কলেজের শৌচাগারে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন একজন। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সম্ভবত টয়লেটে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন মাধব রায়।

Chief Minister’ award on excellence in public administration received on 20th April 2017

গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে তার
মৃতদেহ কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী রাইজিং ইয়ুথ সোসাইটির সদস্যরা শিলচর শশান ঘাটে সৎকার করেছেন।

প্রয়াত মাধব রায় সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সদালাপী, অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী রায় স্থানীয় কৃষ্টি বিবেক সাংস্কৃতিক সংস্থার সম্পাদকের পদ ও অলংকৃত করেছিলেন। তার এই অকাল প্রয়াণে পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুত্র মানস রায় এবং কন্যা মৌসুমী রায় সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধ রেখে গিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, মাত্র কিছুদিন আগে তার স্ত্রীর অকাল প্রয়াণ ঘটেছিল।

Comments are closed.