Also read in

Four-day Indo-Bangladesh Natyotsav at Bangabhaban, Silchar from 20th September

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ নাট্যোৎসব, ২০১৯‌। চলবে টানা চার দিন অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শিলচরের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের আয়োজনে শিলচর বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য চারদিনব্যাপী এই নাট্যোৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্যদল যোগদান করবে। বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট, ভারতের আগরতলা, গুয়াহাটি সহ বরাক উপত্যকার বিভিন্ন নাট্যদল প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাটক পরিবেশন করবে। তবে প্রথম দিন বিকেল সাড়ে চারটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে জানা যায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এদিন দুটো নাটক মঞ্চস্থ হবে। পরিবেশন করবে ঢাকার ‘পদাতিক’ এবং শিলচরের ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ’।২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিটে পরপর দুটি নাট্যদল সিলেটের ‘কথাকলি’ এবং গুয়াহাটির ‘সূর্য’ পরিবেশন করবে তাদের নাটক। ২২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে দুটি নাটক। পরিবেশনায় রয়েছে আগরতলার ‘নাট্য ভূমি’ এবং সিলেটের ‘থিয়েটার সিলেট’। ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পরপর পরিবেশিত হবে তিনটি নাটক। উপস্থাপনায় হাইলাকান্দির বিবর্তন থিয়েটার, পয়লাপুলের ‘রেস থিয়েটার’ এবং সিলেটের ‘নান্দিক নাট্যদল’।

তাছাড়াও ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের মুক্তমঞ্চে তিনটি নাটিকা পরিবেশিত হবে। শিলচরের ‘কোরাস’, ‘দশরূপক’ এবং ‘কায়ানট’ তিনটি নাটিকা পরিবেশন করবে। সেই সঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনের সভাকক্ষে এক নাট্য আলোচনারও আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে আসামের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবদ্য এই ভারত-বাংলাদেশ নাট্যোৎসবকে স্বাগত জানিয়ে এক বার্তায় বলেন, “সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ শিলচরের আহ্বানে এবং ব্যবস্থাপণায় ভারত বাংলাদেশ নাট্য উৎসব আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর শিলচরের বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হবে জানতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি । সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ যে প্রয়াস নিয়েছেন এই প্রয়াসে বরাক উপত্যকার নাট্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ আমরা সবাই মিলে এই তিনটি দিন উপভোগ করবো । আমি ব্যক্তি মানুষ হিসাবে, এই অঞ্চলের নাগরিক হিসাবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । তার সঙ্গে শিলচর শহরের সব সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন উপভোগ করুন । বাংলাদেশের সাথে ভারতের নাড়ির সম্পর্ক আছে, বাংলার শিল্পী বন্ধুরা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা আসবেন তারা তাদের শিল্প সম্ভার নিয়ে আমাদের সামনে তাদের ডালি প্রস্তুত করবেন। আমি পুনরায় আয়োজক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সেই সঙ্গে এই অনুষ্ঠান সফল হয়ে উঠুক এই কামনা করছি।”

অন্যদিকে জানা যায়, বরাক উপত্যকার নাট্যদলগুলো এবার শুধু এই উপত্যকার নাট্যকারের লেখা নাটক পরিবেশন করবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের পক্ষ থেকে সবার উপস্থিতি কামনা করে নাটক দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ পত্র সংগ্রহ করার আবেদন জানানো হয়েছে।

Comments are closed.