Four MLAs of AIUDF is very much active to help BJP, alleges former state minister Siddeque Ahmed
করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থীকে জেতাতে এআইইউডিএফের চার বিধায়ক জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ। বুধবার কাটলিছড়া, বিধানসভা কেন্দ্রের কাটলিছড়া, নুনাই, বিলাইপুর ইত্যাদি স্থানে একাধিক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে এ মন্তব্য করেন তিনি। এরপর এদিন বিকেলে লালায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে অনুরূপ মন্তব্য করে
বিজেপি ও এআইইউডিএফ দলের সমালোচনায় মূখর হন প্রাক্তন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ। বিজেপি এবং এআইইইউডিএফ কে সাম্প্রদায়িক দল বলে আখ্যায়িত করে সিদ্দেক আহমেদ বলেন, করিমগঞ্জ সমষ্টিতে স্বরূপ দাস লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হচ্ছেন; গোটা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির বিকল্প যে কংগ্রেস দল সেটা দেশের জনগণ উপলব্ধি করতে পেরেছেন। করিমগঞ্জ লোকসভা আসনের ভোটাররা সাম্প্রদায়িক দলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে। বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে অভিহিত করে তিনি বলেন যে, এই সরকারের আমলে গোটা দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন । বিজেপি ও আরএসএসের কিছু নেতার নিরন্তর অশালীন মন্তব্যের জেরে দেশে অশান্তি ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে চলেছেন বিজেপি ও আরএসএসের কিছু নেতৃবর্গ। এসব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান তিনি। এদিন সিদ্দেক আহমেদ এককদম এগিয়ে বলেন, শুরু থেকে বিজেপিকে মদত জুগিয়ে চলেছেন ইউডিএফ সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমল।আজমলের জন্য রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। ইউডিএফ-কংগ্রেসের মধ্যে মিত্রতার খবরকে এদিন উড়িয়ে দেন তিনি। বলেন, কংগ্রেস একাই লড়াইয়ে রয়েছে । সিদ্দেক আহমেদ এদিন গুরুতর আভিযোগ এনে বলেন যে, করিমগঞ্জ আসনে এবারও বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করতে ইউডিএফের চারজন বিধায়ক কাজ করে চলেছেন। ইতিমধ্যে বিত্তমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার শিলচর সফরকালে ইউডিএফের চার বিধায়ক রাতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। এর পেছনে কি রহস্য রয়েছে সেটা বোঝার বিষয়।হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছ থেকে ইউডিএফের বিধায়করা কী উপহার পেয়েছেন বলেও প্রশ্ন তুলেন সিদ্দেক আহমেদ। তিনি আরও বলেন ইউডিএফের এক বিধায়কের মুখে সর্বদা বিভিন্ন সভা সমিতিতে বিজেপি সরকারের প্রশংসা শুনা যায়। এসব কীসের ইঙ্গিত বহন করেছে? মুসলিম ভোটে বিভাজন ঘটিয়ে বিজেপিকে জয়ী করাই এখন ইউডিএফ দলের লক্ষ্য বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ইউডিএফ সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমলকে এদিন ছেড়ে কথা বলেন নি সিদ্দেক আহমদ। তিনি বলেন বদরুদ্দিন আজমল একজন ইন্টারন্যাশনাল ব্যবসায়ী। দিল্লিতে যে সরকার থাকবে তার সঙ্গে থাকতে হবে তাকে। তাই সংসদের প্রথম ভাষণেই বদরুদ্দিনের মূখে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। কিন্ত এখন এসব দ্বিমুখি রাজিনীতি বুঝতে পেরেছেন ভোটাররা।যার দরুন কংগ্রেসের পক্ষে জনমত আসতে চলেছে এবার।পাঁচগ্রামের সভায় ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে রেকর্ড জনাসমাবেশ কংগ্রের জনসমর্থন প্রমান করেছে।বিজেপি এবং ইউডিফের এই নোংরা বিভেদের রাজনীতির মূল্যায়ন করতে পেরেছেন দেশের এবং রাজ্যের জনগণ। তাই কংগ্রেসের জয় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জয়নাল উদ্দিন লস্কর বলেন যে, নাগপুর টাইমসের সমীক্ষায় বলছে যে কংগ্রেস একক সংখ্যা গরিষ্ট দল হিসেবে ফের ক্ষমতায় আসছে।তাই বিভেদের রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী স্বরূপ দাস এদিন সবার সহযোগিতা কামনা করেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিরোধীরা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে এসবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এদিনের বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি শুভ্রজ্যোতি নাথ চৌধুরী, পুর কমিশনার শঙ্কু চৌধুরী প্রমুখ।
Comments are closed.