Also read in

Girl kidnapped on her way to school; tension in Karimganj

The English version of the story will be uploaded soon

স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রী অপহরণ, আতঙ্ক মহিষাশনে

চোরাচালান, মাদক পাচার, অনুপ্রবেশ, ডাকাতি, দুষ্কৃতী তান্ডব, ঘন ঘন নিশিকুটুম্বের হানা, একের পর এক অসামাজিক কার্যকলাপে যেন প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।এলাকার ভূপেন্দ্র দাসের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি কাণ্ডের কোনো সুরাহা না হওয়ার পক্ষ কালের মধ্যেই আবার ছাত্রী অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর করিমগঞ্জের ভারত বাংলা সীমান্তবর্তী মহিষাশন গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার সকালে ঘটে এই ছাত্রী অপহরণের ঘটনাটি।অপহরণের ঘটনায় শুক্রবার সকালেই খোদ করিমগঞ্জ পুলিশের এডিসন্যাল এস পির নেতৃত্বে চিরুনি তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এভাবে পুলিশ তদন্তে মাঠে নামলেও প্রতিবেদন লেখা অবধি কোনো সাফল্য মেলেনি করিমগঞ্জ পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায়ের টিমের। সাত সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে লোকসমাগম থেকে ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় এলাকার জনগণ শঙ্কিত ।

Please inform police if you locate her

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল ৮.৩০ মিনিটে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার রাস্তায়।জানা যায়, অপহৃতা প্রিয়া মহিষাশন হাই স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। মহিষাসন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ দাসের মেয়ে প্রিয়া নাথের বয়স আনুমানিক পনেরো । প্রতিদিনের মত শুক্রবার সকালে স্কুলে যাচ্ছিল প্রিয়া, হঠাৎ করে সাদা রঙের নম্বর প্লেট বিহীন একটি ইয়ন গাড়িতে তাকে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতিকারীরা । প্রত্যক্ষদর্শী অপহৃতা প্রিয়ার পিসতুতো বোন সুনালি নাথ সহ সহপাঠীদের মতে একসাথে রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় হঠাৎ পেছন থেকে দ্রুত বেগে আসা একটি সাদা রঙের গাড়ি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় । তিনজনের দুষ্কৃতীর দল গাড়ি থেকে নেমে প্রিয়ার মুখে চাপা দিয়ে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে করিমগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায় । সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠীদের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন জড়ো হলেও তাকে উদ্ধার করা যায় নি। এমনকি সঙ্গে সঙ্গে পাশ্ববর্তী গ্রামের পরিচিতদের খবর দিলেও আটক করা সম্ভব হয়নি গাড়িটিকে। ঘটনার ঘন্টাখানেক পর অপহৃতার কোনও হদিশ না পেয়ে করিমগঞ্জ সদর পুলিশে প্রিয়ার কাকা পঙ্কজ নাথ অপহরণের অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে মাঠে নামেন এএসপি লিনা দোলে, সদর ওসি লুম্ভীত গগৈ সহ পুলিশ অফিসাররা।

প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই সহপাঠীকে মহিষাশন থেকে সদর থানায় নিয়ে যান এ এস পি লিনা দোলে। অপহরণকারীরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য করিমগঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে মেসেজ পাঠানো হয় আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম চেক গেটে । অপহরণকারীদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় । খুব শীঘ্রই অপহরণ কান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করা হবে বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানান। দিন দুপুরে এধরনের অপহরণের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।প্রিয়ার ঘরে ফেরার আশায় প্রহর গুণছেন এলাকাবাসী।

Comments are closed.