Half-starved HPC workers to leave Official Quarters in the New Year
তিন বৎসর ধরে বেতন না পেয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছিলেন কাগজ কল কর্মচারীরা, এবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ও আর থাকছে না। নিলামে উঠছে কাগজ কল, তাই কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল কর্মীদের বিভাগীয় আবাসন খালি করার নির্দেশ দিলেন এইচপিসির লিকুইডেটর কুলদীপ বার্মা । আশায় আশায় এতদিন ধরে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন কর্মচারীরা, এবার সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া কোন কর্মচারীও কার্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
গত ২৫শে নভেম্বর এই সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হলেও তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গত ২৩শে ডিসেম্বর, সোমবার। রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী জানিয়েছিলেন যে, কাগজ কল লিকুইডেশনের ব্যাপারে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই। ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুন্যালের (এনসিএলটি) এই সাম্প্রতিক নির্দেশনায় প্রমাণিত হল রাজ্য সরকার জেনেও না জানার ভান করছে।
বরাক উপত্যকার একমাত্র বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান এই কাগজ কলে বর্তমানে প্রায় ৫০০ কোয়ার্টার রয়েছে। যাদের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে তারা বিভাগীয় আবাসন ছেড়ে চলে গেছেন, চলে গেছেন উচ্চস্তরের আধিকারিকরা; সেরকম ২০০ কোয়ার্টার এখন খালি পড়ে আছে। বাদবাকি এই ৩০০ কোয়ার্টারের কর্মচারীরা কোথায় যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আবাসন খালি করার সংবাদ পেয়ে কাগজ কল কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র হতাশা দেখা দিয়েছে। ধার-দেনা করে এতদিন কোনো মতে জীবন যাপন করলে ও এখন শেষ সম্বল মাথাগোঁজার ঠাঁই ও চলে যাওয়ায় কর্মচারীদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে।
Comments are closed.