Housewife set ablaze in Hailakandi; husband flees, sister-in-law arrested
হাইলাকান্দিতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর গায়ে আগুন: আটক ননদ, স্বামী পলাতক
হাইলাকান্দি জেলার লালা থানাধীন টান্টু গ্রামে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে শরীরের নব্বই শতাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ গৃহবধূর ননদকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে । যদিও স্বামী পলাতক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি এক অক্টোবর রাতে ঘটলেও তিন অক্টোবর রাতে তা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়।
বুধবার রাতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী লালা থানায় অভিযোগ করে বলেন, তার বিবাহিত বোন সোমানা পারভীন চৌধুরী (২৩)কে স্বামী বদরুল ইসলাম ও ননদ ফরিদা বেগম মিলে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ কথাগুলো উল্লেখ করে তিনি এজাহার জমা দেন।কর্মসূত্রে সোমানার ভাই জাহাঙ্গীর মুম্বাই রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি দ্রুত বাড়ি ছুটে আসেন এবং থানায় মামলা করেন।
এজাহারের ভিত্তিতে লালা পুলিশ ৪৮২/১৮ নম্বরে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮(এ)/ ৩০৭ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। আব্দুল্লাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সুবিমল নাথ তদন্তে নেমে টান্টু গ্রামে ছুটে গিয়ে ঘটনার খোঁজ খবর নেন এবং সংকটজনক অবস্থায় শায়িত গৃহবধূ সোমানা পারভিনের জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করেন। সুবিমল নাথ জানান, অগ্নিদগ্ধ সোমানা পারভীনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। এক অক্টোবর রাতে ঘটনার পর তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা গুরুতর থাকায় বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের প্রায় নব্বই শতাংশ আগুনে জ্বলে গেছে। বর্তমানে তিনি প্রায় সংঙ্গাহীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর ভাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ন’মাস আগে সামাজিক ভাবে একই এলাকার বদরুল ইসলামের সাথে সোমানা পারভীনের বিয়ে হয়। কিন্ত বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ পরিবারের লোকেরা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করত। এক অক্টোবর রাতে স্বামী ও ননদ মিলে কেরোসিন ঢেলে সোমানার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। হাল্লা চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। কিন্ত সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ছেড়ে দেন। বর্তমানে বাড়িতে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান। আব্দুল্লাপুর ফাঁড়ি পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ননদ ফরিদা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও স্বামী বদরুল ইসলাম পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
Comments are closed.