Immersion Fight: Sharatpallibasi surrounded the Rangirkhari police station and cautioned them.
বরাক বুলেটিন, শিলচর, ২৭ অক্টোবর : দশমীর পরেরদিন বিসর্জনে গিয়ে শরৎপল্লীর দুই যুবকের লড়াই গত সপ্তাহে থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এবার রাঙ্গিরখাড়ি থানা ঘেরাও করে অফিসার-ইন-চার্জ উৎপল চন্দকে রীতিমতো শাসানি দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য দুদিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন এলাকার একদল লোক।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর রাতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে গিয়ে এলাকার দুই যুবক বিভু পাল এবং বিশ্বজিৎ শীলের মধ্যে প্রেমতলা এলাকায় ঝগড়া হয়। বিভু পালের অভিযোগ, বিশ্বজিৎ তার সাউন্ড বক্সে জল ছিটিয়েছিল তাই তিনি বিশ্বজিৎকে দু-চারটি থাপ্পড় দিয়েছিলেন। তবে বিশ্বজিৎ নাকি তাকে বাড়ি ফেরার পথে মারধর করে এবং তার মাথা ফাটিয়ে দেয়; এতে তার পরিবারের মহিলারাও সাহায্য করে। বিশ্বজিতের পরিবারের অভিযোগ, পরেরদিন বিভু পাল প্রায় ১০০ জন লোক নিয়ে তাদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং বাড়ির মহিলাসহ সবাইকে মারধর করে। দুপক্ষের তরফেই পুলিশে এজাহার দেওয়া হয়। পাড়ার একাংশ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মধ্যস্থতা করার চেষ্টাও করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বিভু পালের পরিবারের সদস্য সহ প্রায় ৫০-৬০ জন লোক রাঙ্গিরখাড়ি থানা ঘেরাও করেন। তারা অফিসার ইনচার্জ উৎপল চন্দ সহ অন্যান্য আধিকারিকদের কড়া ভাষায় জানান দুই দিনের মধ্যে বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করা না হলে তারা সোনাইরোড বন্ধ করে প্রতিবাদ জানাবেন। পাশাপাশি তারা পুলিশকে রাজনৈতিক নেতাদের কথায় চলার এবং তাদের অঙ্গুলী হেলনেই বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এমনটা অভিযোগ তোলেন।
রাঙ্গিরখাড়ি থানার ইনচার্জ উৎপল চন্দ প্রতিবাদী এলাকাবাসীদের আশ্বাস দেন যে পুলিশ নিজের মতো করে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।
এলাকার পুরনেত্রী এবং শিলচর পুরসভার সহ সভানেত্রী চামেলী পালের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই ঘটনা নিয়ে আমরা অবগত এবং দুই পক্ষকে এক জায়গায় এনে বিবাদটি সমাধান করার জন্য পর্যাপ্ত চেষ্টা করছি। দুপক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে এবং আমদের বিশ্বাস পুলিশ তাঁদের মতো করে তদন্ত করছে। তবে আমরা চাই এলাকাবাসীরা নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিন।”
Comments are closed.