Also read in

J.K Baruah Trophy: Roshan Topno's century puts Silchar in driver's seat

রোশনের অপরাজিত শতরানে বড় স্কোর শিলচরের, জে কে বরুয়ায় চাপে ধেমাজি

মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রোশন টপনোর দুরন্ত শতরানে ধেমাজির বিরুদ্ধে বড় স্কোর খাড়া করল শিলচর। শুক্রবার গোলাঘাটে জে কে বরুয়া ট্রফি আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটের কার্যত সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছে তথাগত দেবরায়ের ছেলেরা। দুদিবসীয় এই ম্যাচে ভাইটাল ফ্যাক্টর হবে প্রথম ইনিংসের লিড। সে দিক থেকে বিচার করলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে এদিন ৩২১ রানের একটা বড় স্কোর খাড়া করল শিলচর। দিনের শেষে ১৮রানে দু উইকেট হারিয়ে চাপে রয়েছে ধেমাজি। শিলচরের প্রথম ইনিংসের স্কোর থেকে এখনও ৩০৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা। গোলাঘাট স্টেডিয়ামের পিচের যা অবস্থা সে অনুসারে প্রথম ইনিংসে লিড নিতে হলে অসাধারণ কিছু করতে হবে ধেমাজির ব্যাটসম্যানদের।

গত ম্যাচে গুয়াহাটির বিরুদ্ধেও দারুন পারফর্ম করেছিলেন শিলচরের ব্যাটসম্যানরা। তবে ধেমাজির বিরুদ্ধে কিন্তু এদিন একটা সময় প্রচণ্ড চাপে ছিল তারা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের পর ২২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট চলে গিয়েছিল। সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন সুরজ যাদব (৬), পারভেজ মোশাররফ (৯) এবং কৃশানু দত্ত (৩)। এরপর ভালো ছন্দে থাকা অমন সিং-ও (৩৪) ফিরে যান। শিলচর তখন ৭৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এমন একটা পরিস্থিতি থেকে তারা যে বড় একটা স্কোরে পৌঁছাতে পেরেছে এর কৃতিত্ব রোশন টপনোর। আসলে গোলাঘাট স্টেডিয়ামের পিচ শুরু থেকেই অসমান আচরণ করেছে। অমন ও সুরজ উইকেট এর অসমান বাউন্সের শিকার হন।

এমন কন্ডিশনে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ এক ইনিংস খেললেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান রোশন। একদিক থেকে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত নট আউট রইলেন তিনি। গুয়াহাটির বিরুদ্ধে কেবল একটি মাত্র রানের জন্য শতরান মিস করেছিলেন। তবে ধেমাজির বিরুদ্ধে হাঁকালেন এক ঝকঝকে শতরান। ২১৫ বলের ইনিংসে ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এটাই শিলচর কে ভালো একটা স্কোরে পৌঁছে দেয়।

এদিন অমন খুব ভালো ছন্দে ছিলেন। কিন্তু আশা জাগিয়েও বড় স্কোর গড়তে পারলেন না।একইভাবে মিডল অর্ডারে প্রশান্ত কুমার (৩৫) ও অধিনায়ক শুভজিত পালও (৩১) সেট হয়ে ফিরে যান। কোনো কামাল করতে পারেননি গুয়াহাটি ম্যাচের আরেক হিরো গৌরব টপনো (৮)। শিলচর দল যে তিনশোর বেশি একটা স্কোরে পৌঁছতে পেরেছে তার জন্য আবিদ হাসান ও পরীক্ষিত বণিকের প্রশংসা করতে হবে। দলের এই দুই শেষ ব্যাটসম্যান যথাক্রমে ১৯ ও ১৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষ উইকেটের জন্য পরীক্ষিতের সঙ্গে ৪১ রানের পার্টনারশিপ করেন রোশন। এদিন অতিরিক্ত থেকে ৪১ রান পেয়েছে শিলচর। পাঁচ উইকেট শিকার করেন রাজেশ সাহনি। দুটি করে উইকেট নেন এদুল ইসলাম ও জোসেফ।

প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি শিলচরের কোচ তথাগত দেব রায়। বরাক বুলেটিন কে তিনি জানান, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই কঠিন। উইকেটে অসমান বাউন্স রয়েছে। তাই শিলচরের স্পিনাররা যদি নিজেদের সামর্থ অনুসারে বল করতে পারেন তাহলে কাজটা মোটেও কঠিন হবে না।

এদিন গুয়াহাটি ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন করে শিলচর। সমির সিনহার পরিবর্তে একাদশে আসেন ওপেনার সুরজ যাদব।

Comments are closed.