Also read in

Leaders putting pressure on DC: BJP terms it "baseless" news, to take "legal actions"

ডিসিকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ, মামলা করছে জেলা বিজেপি

তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনে মাস্ক না পরে কর্মচারিরা কাজ করায় ২৮টি দোকান সিল করে দিয়েছিল প্রশাসন। কীর্তি জল্লি জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যেদিন প্রথমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করলেন, এর পরের দিন একটি স্থানীয় দৈনিকে দাবি করা হয় তিনি নাকি বলেছেন শহরের একটি দোকান খোলার জন্য বিজেপির নেতারা তাকে চাপ দিচ্ছেন। এই ঘটনাকে নিয়ে সোমবার সোচ্চার হলেন জেলা বিজেপির সভাপতি কৌশিক রাই এবং শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়।

এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলার সময় তাদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা সোজা ভাষায় জানান, সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে খুব শক্ত একটি মামলা করছেন তারা।পত্রিকাটির একজন প্রতিবেদক জানতে চাইছিলেন ঠিক কতদিন পরে মামলাটি হবে? এর উত্তরে কৌশিক রাই বলেন, ‘আপনারা চিন্তা করবেন না, পত্রিকার মালিকের কাছে মামলার কাগজ সময় মত পৌঁছে যাবে।’ প্রতিবেদনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেপার কাটিং খুব ভাইরাল হচ্ছে এবং জনমনে এ নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। জেলাশাসক নতুন এসেছেন তার সঙ্গে আমাদের ভালো করে পরিচয়টাও হয়নি। যেহেতু তার নাম ছড়িয়ে কথাগুলো লেখা হয়েছে তাই আমরা তার সঙ্গে কথা বলাটাই নায্য মনে করলাম। তিনি আমাদের স্পষ্ট জানালেন, সেদিন সাংবাদিক সম্মেলন ছাড়া আর কোন সংবাদপত্রের মানুষের সঙ্গে তার বা তার কোনও গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকের কথাই হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কখনই এমনটা বলেন নি, যে বিজেপির নেতারা তাকে শাসাচ্ছেন বা দোকানটি খুলতে চাপ দিচ্ছেন।’

উল্লেখ্য, শিলচর শহরের অন্যতম বড় ওষুধের দোকান ড্রাগস কর্নারকে বন্ধ করার মাধ্যমেই দোকান সিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান জানিয়েছিলেন, ‘দোকানে মাস্ক না পরে কর্মচারিরা কাজ করছেন, এর ফটো রয়েছে প্রশাসনের কাছে। কোন নিজস্ব শত্রুতা মেটাতে দোকান বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র জেলার প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে একটি বার্তা দিতে কাজটি করা হয়েছে।’ এরপর স্থানীয় এক সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, জেলাশাসক কীর্তি জল্লি নাকি বলেছেন বিজেপির নেতারা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে যেদিন প্রতিবেদনটি প্রকাশ পায়, সেদিন বিকেলেই খবরটিকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান।

এবার জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। বরাক বুলেটিন যেহেতু আগের দুই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, ফলে জেলা বিজেপির বক্তব্যও আমরা তুলে ধরছি।

সাংসদ রাজদীপ রায় আরেকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য রাখেন। পাঁচ বছরে কাছাড় জেলায় পাঁচবার জেলাশাসক বদলি করা নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছিল। এই প্রতিবেদনটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচন্ডভাবে ভাইরাল হয়। এ ব্যাপারে রাজদীপ বলেন, এগুলো সরকারি সিদ্ধান্ত, এমনটা আগেও হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সম্পর্কটা কিছুটা ইঁদুর বিড়ালের মত। যেমনটা টম অ্যান্ড জেরি কার্টুনে দেখা যায়, তারা দুজনেই সব সময় একে অন্যকে অপদস্ত করার চেষ্টা করে। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকার সময়ে শুধু এটা হচ্ছে এমনটা নয়। অতীতেও এগুলো হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটা হবে না এমনটা বলা যায়না। কয়েকজন জেলাশাসক পরিবর্তন হওয়াতেই একাংশ মানুষের এত মাথাব্যাথা। ভারতবর্ষের ইতিহাস দেখলে জানা যায় অতীতে অনেক প্রধানমন্ত্রী কম সময়ের মধ্যে বদলি হয়েছেন। সেটা নিয়ে এত কথা হয়নি। পাঁচ বছরে পাঁচজন জেলাশাসক পরিবর্তন হয়েছেন হয়তো আগামীতে আরো কম সময়ে অনেক বেশি জেলাশাসক বা অন্যান্য সরকারি কর্মচারি বদলি হতে পারেন, এটাই নিয়ম।

Comments are closed.