Also read in

Missing man's skeleton recovered in Hailakandi; 2 arrested

অবশেষে নিখোঁজ সেই প্রৌঢ়ের কঙ্কাল মিলল ,  গ্রেফতার -২

হাইলাকান্দির কাটলিছড়া থানাধীন প্রত্যন্ত কাঠালতলী গ্রাম থেকে সন্দেহজনক ভাবে নিখোঁজ প্রৌঢ়ের  কঙ্কাল  অবশেষে উদ্ধার করল পুলিশ।  আর সেই সাথে খুনের দায়ে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে কাটলিছড়া পুলিশ।

সোমবার দুপুরে কাঠালতলি এলাকার নালার জলে গাছের লগে বাঁধা  অবস্থায়  প্রৌঢ় মানিক মুন্ডার মৃতদেহ, যা এতদিনে কঙ্কালের রূপ নিয়েছে, উদ্ধার করে  কাটলিছড়া পুলিশ।

এদিন  ম্যাজিস্ট্রেট রেবেকা চাংসন, কাটলিছড়া  থানার ওসি নিতাই চান্দ সিংহ, এসআই কল্যান বরার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী  অভিযান চালিয়ে  কাঠালতলী সেকসনের নালায় গাছের লগে বাধা পলিথিনে  মোড়া অবস্থায়   মানিক মুন্ডা (৭০) র  লাশের কঙ্কাল উদ্বার করে। সম্পত্তির লোভে মানিক মুন্ডাকে খুন করে নালায় গাছের লগে বেঁধে রাখা হয় বলে পুলিশের সন্দেহ।   পুলিশ এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সুরেশ মুন্ডা,বিজয় মুন্ডাকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর বীরেন মুন্ডা কাটলিছড়া থানায় নিজের কাকা মানিক মুন্ডা নিখোজ হয়েছেন বলে  এজাহার জমা দেন। এজাহারে  বীরেন মুন্ডা   তার  কাকার নিখোঁজের পেছনে  সুরেশ ও বিজয়ের হাত থাকতে বলে সন্দেহ ব্যাক্ত করেন।  এরপর আবার গত ১৪ অক্টোবর সুরেশ মুন্ডা,  কাটলিছড়া  থানায়  মানিক মুন্ডার  নিখোজ সংক্রান্ত  এজাহার জমা দেন।  কাটলিছড়া  পুলিশ  তদন্তে নেমে
রবিবার    প্রৌঢ়  মানিক  মুন্ডার আশ্রয় দাতা সুরেশ মুন্ডা এবং বিজয় মুন্ডাকে থানায় তুলে নিয়ে  আসে এবং  টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায় । জেরার মুখে রবিবার রাতে সুরেশ ও বিজয় নিখোজ মানিকের লাশের  সন্ধান দেন। আজ সকালে সুরেশ ও বিজয়কে নিয়ে  জঙ্গলের নালায় অভিযান চালায় পুলিশ,
পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় তারা। সুরেশের বাড়ির পশ্চিম দিকে সেকসনের নালাতে নিয়ে পুলিশকে নিয়ে যায় তারা।  সেখানে গাছের লগ সহ পলিথিন মোড়া মানিকের  দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশি জেরায়  তারা খুনের কথা কবুল করে বলে  পুলিশ সিত্রে জানা গেছে। স্বীকারোক্তিতে  তারা পুলিশকে জানায়,  সুরেশের ঘরে  বেধড়ক প্রহারে  মানিক মারা যায়। এরপর  মরদেহ গায়েব করতে  তারা নালায় নিয়ে যায়।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে  হাইলাকান্দি এসকে রায় সিভিল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে।   বীরেন মুন্ডা জানান, তার  আপন কাকা মানিক মুন্ডার  স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।   আর এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে  দেওয়ার পর থেকেই   তিনি একা বসবাস করতেন।

Comments are closed.