Municipality board was not consulted before building flaw filled Sadarghat bridge: Chairman Tagore
‘সেতু নির্মাণে কোন পক্ষই পৌরসভার মতামত নেয়নি, ভুল পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে’ সদর ঘাট সেতু নিয়ে এবার সরব পু্রপতি
বঙ্গ সাহিত্যের পর এবার বরাকের নতুন সেতু নিয়ে সরব হলেন খোদ পুরপতি নীহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুর। গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নিজের ক্ষোভ ঝাড়লেন ঠাকুর। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি শহর মন্ডল সভাপতি দীপায়ন চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি নারায়ণ চৌধুরী, পুরসভার সহ-সভানেত্রী চামেলি পাল, পুরসদস্যা ভাগ্য রানী পাল, রিনা পাল, মিত্রা রায়, রাখি চৌধুরী, রাজেশ দাস প্রমুখ।
বরাকের নতুন সেতুর ডিপিআর প্রস্তুত করার সময় বা পরে কর্তৃপক্ষ জনগণ বা বিভিন্ন সংস্থার মতামত নেননি বলে যে অভিযোগ বরাক বঙ্গের কর্তাব্যক্তিরা করেছিলেন, সেই একই অভিযোগ করলেন পুরপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর। পুরপতি বলেন,’বরাক ব্রিজ নির্মাণ সম্পর্কে রাজনৈতিক বা সরকারি কোনো পক্ষই শিলচর পুরসভাকে জড়িত করেননি। অথচ ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ব্রিজ তৈরিতে জনসাধারণকে সঙ্গে রেখে কোথায় হবে, কিভাবে হবে সেটা সবসময়ই প্রকাশ করা হয়েছে।
ঠাকুর অভিযোগ করেন যে, একটা ভুল প্ল্যান অনুসারে বরাক সেতু তৈরি করা হয়েছে। পূর্ত বাস্তুকার বলেছিলেন, জল শোধন কেন্দ্রের ক্ষতি হবে না, কিন্তু দিন কয়েক আগে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে, এর আগে পানীয় জল বিতরণ কেন্দ্র যেন তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এই কাজ করতে গেলে একই সঙ্গে অর্থ এবং সময়ের প্রয়োজন, সেই ব্যয়ভার কে বহন করবে। বরাক সেতুর ল্যান্ডিং পয়েন্ট জল শোধন কেন্দ্রের উত্তর দিকে কিংবা পেছনদিকে সরিয়ে দিলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারকে কোন টাকা ব্যয় করতে হতো না। কিন্তু সেটা না করে সেতুর ল্যান্ডিং পয়েন্ট যেদিকে আনা হয়েছে, সেই এলাইনমেন্ট বজায় রাখতে গিয়ে জন্স মিলকে দেড় কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। একইসঙ্গে জল শোধন কেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে; সংকুচিত হয়েছে পুরসভা ও বঙ্গ ভবনের সামনের রাস্তা। সদরঘাট ব্রিজের কল্যানে এখন পৌরসভার সামনের রাস্তা দাঁড়িয়েছে সিঙ্গল লেনে, এতে ব্যাপক সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে ভবিষ্যতে।
পুরপতি ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, “গত বছর সেতুর ল্যান্ডিং পয়েন্ট নিয়ে যখন জটিলতার সৃষ্টি হয় তখনই কেবল আমাকে ডাকা হয়”।
নতুন সেতুর বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পুরসভার অসহযোগিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠাকুর বলেন, সেতুর বাতিস্তম্ভের বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন জানানো হলে পুর্তবিভাগকে এপিডিসিএল সাফ জানিয়ে দেয়, এর জন্য পুরসভার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট লাগবে। এরপর বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেন পূর্ত গ্রামীণ সংমন্ডলের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজিত কুমার বৈষ্ণব। বৈষ্ণব দাবি করেছিলেন এই সেতু পুর এলাকায় তাই বৈদ্যুতিক সংযোগের আবেদনের দায়িত্ব পুরসভার । পুরপতি তা খণ্ডন করে বলেন, সেতু নির্মাণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারও পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি সুতরাং পুরসভা মালিক হলো কি করে। তবে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পুরপতি। তিনি বলেন, শহরের সমস্ত স্ট্রীট লাইটের বিদ্যুৎ মাশুল বহন করছে পুরসভা, প্রয়োজনে নতুন সেতুর বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ব্যয়ভার বহন করতেও প্রস্তুত; তবে এটা শুধু শিলচর পুরসভার নয় গোটা বরাকের সম্পত্তি।
শিলচরকে স্মার্ট সিটি ঘোষণা প্রসঙ্গে নীহারেন্দ্র বলেন, আমাদের শহরে এলইডি আলো এবং ওয়েবসাইট না থাকায় আমরা এই স্মার্ট সিটি তে অন্তর্ভুক্ত হতে পারিনি।
এইসব চাপান-উতোরের মধ্যেও সেতু উদ্বোধন এর কাজ জোর গতিতে চলছে বলে জানা গেছে।
Comments are closed.