Also read in

Murder of a fisherman: tension prevails at Shalchapra Tapang area

মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে খুন হলেন শালচাপড়া গ্রান্ট এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিন, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে তাপাং এলাকার খাড়ুয়ালা বিল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়; খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা ঐ এলাকার দুই ব্যক্তি শামসুল এবং কুটি নামের দুই প্রতিবেশীর। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে তাপাং এলাকায়, চলছে সিআরপিএফের টহলদারি।

এদিকে, আবার খাড়ুয়ালা বিল এলাকায় বসবাসকারী দুই ভাই শ্রীকান্ত দাস ও শ্রী রাম দাস আহত অবস্থায় শিলচর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।

সন্দেহ করা হচ্ছে, বিল এলাকায় মাছ ধরা ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছিল রহিম উদ্দিনের সঙ্গে শ্রীকান্তদের। রহিম উদ্দিনের ভাই জানিয়েছেন যে, ওই বিল এলাকায় তাদেরও জমি রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো রবিবার রাতেও রহিম উদ্দিন ঐ বিলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান, সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী সামসুল এবং কুটি। সোমবার সকালেও ফিরে না আসায় শুরু হয় খোঁজখবর, এর মধ্যেই খবর আসে বিলে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে সোমবার রহিমের মৃতদেহ উদ্ধারের আগে রবিবার রাতে খারুয়ালা বিল এলাকার বাসিন্দা দুই ভাই শ্রীকান্ত দাস ও শ্রী রাম দাস রক্তাক্ত দেহ শ্রীকোনা পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হন। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী রাতে দুজনে মিলে বিল পাহারা দিচ্ছিলেন, তখন শালচাপরা গ্রান্টের দিক থেকে কিছু লোক জাল নিয়ে মাছ চুরি করতে আসে, আপত্তি জানালে তাদের আক্রমণ করে চোরেরা। কোনোক্রমে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসেন তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে শ্রীকোনা ফাঁড়ির পুলিশ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে, বর্তমানে দুজনেই চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার সকালে শিলচর থেকে তাপাং ছুটে যান ডিআইজি পি কে দত্ত, পুলিশ সুপার মাধুর্য জ্যোতি মহন্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাস, শিলচর সদর থানার ওসি ডি গোস্বামী। ময়নাতদন্তের পর সোমবার বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রহিম উদ্দিনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে সমঝে দেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।

Comments are closed.