Also read in

Officials from the district administration delivering food at doorsteps in Cachar

হোম কোয়ারেন্টাইনে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা

প্রাথমিকভাবে সরকারি কোয়ারেন্টাইন থাকার পর সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে জেলায় প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে এবং অনেকেই এই সুবিধা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিডিএমএ বিভাগের কর্মচারীরা এগুলো পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন।

স্বাস্থ্যবিভাগের আধিকারিক সুমন চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পরিবারপ্রতি দুই হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে এবং শিলচর শহর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে খাবার পৌঁছে গেছে। ডিডিএমএস বিভাগকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের আধিকারিকরা নিজে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে খাবারগুলো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির পরিবারের হাতে সমঝে দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার এবং বুধবার ডিডিএমএস কার্যালয়ের আধিকারিক পার্থ দাস, সাহির উদ্দিন লস্কর সহ অন্যান্যরা গাড়িতে করে খাবার প্যাকেটগুলো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা যাত্রীদের পৌঁছে দিয়েছেন। পুরো বিষয়টি ডিডিসি জেসিকা রোজ লালসিমের নেতৃত্বে হচ্ছে। আগামীতে জনপ্রতিনিধিরাও এই প্রক্রিয়ায় যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন এসওপি গঠন করা হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে ফিরলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।

একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে ফিরলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বিমান এবং ট্রেনের যাত্রীদের জন্য আগে এসওপি ছিল, বাইরে থেকে চিকিৎসা করে আসা ব্যক্তি, শিশু, বৃদ্ধ এবং একা যাত্রা করা মহিলাদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে না রেখে তাদের বাড়িতে পাঠানো হবে। সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে তারা থাকবেন। যারা সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদেরও ধীরে ধীরে ১৪ দিনের মেয়াদ কমিয়ে আরো আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে তাদের সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন নিয়ম গঠন করা হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা বাইরের রাজ্য থেকে ফিরছেন তাদের বাড়িতে রেখে নিরাপদ ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেক রোগের আ্যাসিমটমেটিক, যারা আক্রান্ত হচ্ছেন খুব সহজে সুস্থ হচ্ছেন। বাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের সরকারের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বাড়িতে কেউ আক্রান্ত হলে সেই বাড়িটি কন্টেইনমেন করে এলাকাবাসীর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে আনা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একই পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তিকে একসঙ্গে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে না। এছাড়া একই পরিবারের ব্যক্তিদের আলাদা আলাদা জায়গা রাখার ক্ষেত্রে নানান অসুবিধা থেকে যায়। আমরা নানান অবাঞ্চিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি।   এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি পাঠানোর ক্ষেত্রে এসওপি অনুযায়ী আক্রান্ত হওয়ার পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় টেস্ট এবং ষষ্ঠ দিনে তৃতীয় টেস্ট করা হচ্ছে। অনেকেই তৃতীয় টেস্টে নেগেটিভ আসছেন ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

Comments are closed.