
Panchali and Suman Ghosh's daughter Sarakhi wins "Silchar Ki Beti" contest
‘শিলচর কি বেটি’ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার জিতে নিল সারাক্ষী ঘোষ। আজ সারাক্ষীর হাতে পুরস্কারটি তুলে দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। শিলচর পুলিশ প্যারেড ময়দানে অনুষ্ঠিত পোষন মাস সমাপন এবং বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সঙ্গে ৮ বছরের সারাক্ষীকে পুরস্কৃত করা হলো।
বাবার সঙ্গে তোলা সারাক্ষীর ফেসবুকে আপলোড করা একটি সেলফি ‘শিলচর কি বেটি’ প্রতিযোগিতায় তাকে প্রথম পুরস্কার এনে দেয়। সারাক্ষী শিলচর চাঁদমারি রোডের বাসিন্দা সুমন ঘোষ ও পাঞ্চালি ঘোষের মেয়ে। তার বাবা পেশায় একজন চিকিৎসক।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সারাক্ষী একটি ‘স্পেশাল চাইল্ড’। তবে ‘সাই বিকাশ’র কেজি ওয়ান ক্লাসের ছাত্রী সারাক্ষী ইতিমধ্যেই অনেকভাবে তার মা-বাবার গর্ব হয়ে উঠেছে। এবারে ‘শিলচর কি বেটি’ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাওয়ায় বাবা হিসেবে আরও একবার মেয়ের জন্য গর্ববোধ করার সুযোগ পেলেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানালেন সুমন। জানা গেল, সারাক্ষী যদিও ‘স্লো লার্নার’, কিন্তু পড়াশোনায় স্কুলে ভালো ফল করছে। আর এই ভালো ফল করার জন্য তার নিজস্ব প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম প্রশংসার যোগ্য।তার বাবার কাছ থেকে আরও জানা গেল, ইতিমধ্যেই সে শিলচরে বাচ্চাদের জন্য অনুষ্ঠিত একটি ফ্যাশন শো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে র্যাম্প ওয়াক করেছে। পুরস্কার না পেলেও এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সারাক্ষী মা-বাবাকে গর্বিত করে তুলেছে বলে উল্লেখ করেন সুমন।
এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন তথা ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের জন্য কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে সুমন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেইসঙ্গে ধন্যবাদ জানান তাদের, যারা ফেসবুকে সারাক্ষীর সঙ্গে তোলা সেলফিকে লাইক করে প্রতিযোগিতায় তার মেয়েকে জয়লাভ করার জন্য সাহায্য করেছেন।
Comments are closed.