Paper Mill Revival Action Committee organises 'Ramnagar Chalo' agitation on 4th January
এইচপিসি পেপারমিলস রিভাইভ্যাল অ্যাকশন কমিটি আগামী চৌঠা জানুয়ারি আবার এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে। কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল চালু না করা এবং সরকারি অবহেলা ও নির্যাতনে ৪৯ জন কর্মচারীর অকাল মৃত্যুর প্রতিবাদে ‘চলো শিলচর রামনগর’ শীর্ষক এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পেপার মিল ইউনিয়নের নেতা মানবেন্দ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি কথা বললে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পড়ে থাকা রিভাইভ্যাল প্যাকেজটা যতক্ষণ পর্যন্ত রিলিজ করা হচ্ছে না ততক্ষণ আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। এরই অঙ্গ হিসাবে বলা যায়, এই বিক্ষোভ মিছিল। আমাদের ৪৯ জন কর্মচারী অর্ধাহারে-অনাহারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েও এখন পর্যন্ত দুটি কাগজ কলকে পুনরুজ্জীবিত করতে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। অথচ ২৪ মাস থেকে বেতন বন্ধ করে রেখেছেন, যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ইন্ডাস্ট্রিতে হয় না। তাই অবশ্যই এই ৪৯ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী সরকার। সরকারকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে। এরই প্রতিবাদে আমাদের এই বিক্ষোভ মিছিল।”
বিক্ষোভ মিছিলটি বিশাল আকার নেবে বলে এই ইউনিয়ন নেতা মনে করছেন। যদিও ৪ তারিখের এই বিক্ষোভ মিছিলটি কোথা থেকে শুরু হয়ে কোন জায়গা পর্যন্ত যাবে, তা তিনি এই মুহূর্তে প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে যথাসময়ে মিছিলের সময় এবং স্থান জানানো হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এই মুহূর্তে লক্ষ্য হলো প্রধানমন্ত্রীর সামনে আমাদের প্রতিবাদ প্রদর্শন করা, যিনি তাঁর কথা রাখেননি এবং আসামের মানুষকে প্রতারণা করেছেন। তবে এখানে আমরা একটা কথা স্পষ্ট করতে চাই, আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নই। প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীতো কোনও দলের হতে পারেন না, তিনি জনগণের সেবক এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর অবশ্যই প্রতিশ্রুতিটাও তিনি একটি সাংবিধানিক পদে বসেই দিয়েছেন। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বয়কট বা বর্জনের ডাক দিয়েছি এবং এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।”
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২২ নভেম্বর এইচপিসি পেপার মিলস রিভাইভ্যিল কমিটি কাছাড় কাগজ কলকে পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে বরাক বনধ পালন করে। এই বনধে কংগ্রেস এবং বামপন্থী দল সহ অন্যান্য বিভিন্ন সংগঠনের সক্রিয় সমর্থন ছিল।
Comments are closed.