Parmita Nath, the young lady of Dudhpatil, finally succumbs to death.
অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল দুধপাতিল পঞ্চম খন্ড নাথপাড়ার ২৩ বছরের অগ্নিদগ্ধ যুবতী পারমিতা নাথ। সোমবার দুপুর নাগাদ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে পারমিতা।
পারমিতার মৃত্যু সংবাদে নাথপাড়া এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া, এলাকাবাসী ঘাতক পিতা তুষার কান্তি নাথের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তদন্তকারী অফিসার মালুগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস টেরন জানিয়েছেন তুষারের বিরুদ্ধে নথিভূক্ত মামলায় এবার সংযোজিত করা হবে খুনের ধারা ৩৩২।
উল্লেখ্য, পারমিতার মা জ্যোৎস্না নাথ এক এজাহারে পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী তুষার কোন কাজকর্ম করে না, প্রায়ই মদ্যপান করে সে বাড়িতে উৎপাত করে থাকে। মেয়ে এবং নিজে একটি দোকান চালিয়ে সংসার ব্যয় নির্বাহ করেন। ঐদিন অর্থাৎ ২৯শে জুলাই ও মদ্যপানের জন্য টাকা চাইলে মেয়ে দিতে রাজি হয়নি, তবুও কোথা থেকে মদ্যপান করে এসে রাত ১১ টা নাগাদ মেয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার পরই গা ঢাকা দেয় তুষার কান্তি নাথ, তিন দিন আগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, মৃত্যুর আগে পারমিতা গত ৩০ জুলাই স্বজ্ঞানে বয়ান দিয়ে গেছেন, ২৯ জুলাই গভীর রাতে তিনি বোনের সঙ্গে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন বাবা তুষার নাথ মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে তাকে ও বোনকে গালিগালাজ করেন। এসবের মাঝখানে হঠাৎ করে বাবা তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তাই মেয়ের মৃত্যুর পূর্বের বয়ানে মদ্যপ পিতার এই নৃশংস কার্যের সমোচিত শাস্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Comments are closed.