
Partha Seal, Dibyendu Das making Barak Valley proud at Sankardev Kalakshetra in a State-level Photography Exhibition
গুয়াহাটিতে সরকারি প্রর্দশনীতে স্থান করে নিল বরাকের পার্থ শীল ও দিব্যেন্দু দাসের ছবি
গুয়াহাটির শংকরদেব কলাক্ষেত্রে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্য সরকার আয়োজিত প্রথম ফটো এক্সিবিশন। আর এতে স্থান পেয়েছে বরাক উপত্যকার দুই উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তির কাজ। সারা রাজ্যের কাছে বরাক উপত্যকার মুখ উজ্জ্বল করা দুই ব্যক্তি হলেন বরিষ্ঠ চিত্রসাংবাদিক পার্থ শীল এবং জাতীয় স্তরের পুরস্কারপ্রাপ্ত ফটোগ্রাফার দিব্যেন্দু দাস।
পার্থ শীল বরাক উপত্যকার চিত্র-সাংবাদিকতা এবং মননশীল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় নাম। তার তোলা বন্যার ছবি একসময় পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক সহ দেশ-বিদেশের অনেকে টুইটারে শেয়ার করেছেন। তার ফেসবুক পেজ জুড়ে রয়েছে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন গল্প, অবশ্যই সেটা ছবির মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া। তার তোলা ছবি রাজ্য স্তরের এক্সিবিশনে যাচ্ছে এতে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘ফটো তোলা আমার কাছে একটি সাধনার মত, যখন কোনও ভালো মুহূর্ত দেখি সেটা ক্লিক না করে মনে শান্তি পাইনা। অবশ্যই রাজ্যস্তরে এধরনের স্বীকৃতি পেয়ে আনন্দিত, আমরা আশা করব ভবিষ্যতে তারা বরাক উপত্যকার দিকে আরেকটু নজর দেবেন।’
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দিব্যেন্দু দাসের ছবি জাতীয় স্তরে নানা পুরস্কার পেয়েছে। উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে তার ছবি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবার রাজ্য সরকার আয়োজিত এক্সিবিশনে ছবি যাওয়ায় তার অনুরাগীরা আনন্দিত বোধ করছেন।

শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রের সম্পাদক সুদর্শন ঠাকুর ফটোগ্রাফিক এক্সিবিশনের ব্যাপারে তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘রাজ্যে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার রয়েছেন যাদের তোলা ছবি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানের এক্সিবিশনে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। বর্তমানে ডিএসএলআরের দৌলতে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন, কাজিরাঙ্গা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চলে তাদের পরিশ্রম করতে দেখা যায়। অতীতের সরকারিভাবে এই প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারদের জন্য প্লাটফর্ম গড়ে তোলার সুযোগ হয়নি, তাই শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন রাখা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফটো সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেগুলো আমাদের ওয়েবসাইট সহ এক্সিবিশনে হার্ডকপি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ফটোর মাধ্যমে উঠে এসেছে রাজ্যের নানা দিক, সেটা অবশ্যই জাতীয় স্তরে অনেকের নজর কাড়বে।’

শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র সোসাইটির পক্ষে আঙ্গুরলতা ডেকা লিখেছেন, ‘সরকারের তরফে প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে আরো অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারের ছবি এই এক্সিবিশনে জায়গা পাবে। রাজ্যের ফটোগ্রাফারদের জন্য জাতীয় স্তরের প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে সরকার এবং শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র সোসাইটির সহায়তায় শুরু হয়েছে রাজ্যস্তরের চিত্র প্রদর্শনী।
Comments are closed.