Also read in

Plane fare hike : Joint Forum demands intervention of the Government

সম্প্রতি শিলচর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে জেট এয়ারওয়েজের বিমান পরিষেবা। এরপর থেকেই অন্যান্য সংস্থাগুলোর টিকিটের দাম হুরহুর করে বেড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রত্যেক প্রান্তে সহজভাবে বিমান সেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিলেও শিলচরের মতো একটি ব্যস্ততম শহর থেকে এভাবে পরিষেবা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এতে বাড়ছে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি। বিমান পরিষেবার এই ব্যাপারগুলো নিয়ে জয়েন্ট ফোরাম ফর বিজনেস অ্যান্ড কমার্সের সদস্যরা সম্প্রতি জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি এবং মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের সঙ্গে দেখা করেন।

মঙ্গলবার ফোরামের সদস্যরা এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, তারা জেলা প্রশাসন এবং সরকারের মাধ্যমে এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে চাইছেন যে শিলচর শহরে আরো বেশি বিমান পরিষেবার প্রয়োজন। তারা এ ব্যাপারে আরও বলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার মত একটি দায়িত্বপূর্ণ বিমান পরিষেবা সংস্থা এখানে অসম্পূর্ণ পরিষেবা দিচ্ছে, তারা প্রতিনিয়ত টিকিটের দাম বাড়াচ্ছে এবং কম সংখ্যায় ফ্লাইট দিচ্ছে। একই ধরনের কাজ করছে এখানে অবস্থিত একমাত্র বেসরকারি সংস্থা স্পাইসজেট। জেট এঢয়ারওয়েজ থাকাকালীন টিকিটের দাম অনেক কম ছিল, কারণ তারা অনেক গুলো ফ্লাইট চালাতো, এখন সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা শুনেছিলাম ইন্ডিগোর মত অন্যান্য সংস্থা এখানে আসবে, তবে এখন কিছুই হচ্ছে না এবং অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শিলচর থেকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে তাড়াতাড়ি যেতে হলে বিমান পরিষেবা সব থেকে প্রয়োজনীয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার করে প্রত্যেক শহরকে বিমান পরিষেবায় সহজে জুড়ে দিতে বলছেন। অথচ এখান থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে বিমান পরিষেবা। আমরা চাই এসব নিয়ে জনগণ আরো বেশি সোচ্চার হোন এবং সরকার শিলচরে বেশি সংখ্যায় এবং কম দামে বিমান পরিষেবা দিতে বাধ্য হয়।

তারা শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেবকেও একহাত নেন। তাদের মতে, এটি হচ্ছে একটি কেন্দ্রীয় বিষয় এবং এসব ব্যাপারে সাধারণত সাংসদরা কথা বলেন। সুস্মিতা দেব নিজেও বিমানেই যাতায়াত করেন। হয়তো তিনি নিজের খরচে সেটা করেন না বলে বিমানের টিকিটের দাম নিয়ে তার ধারণা নেই। তবে এতে তার আরো শক্ত ভূমিকা হওয়ার কথা ছিল। তিনি আজ লখনৌ এর প্রচার নিয়ে ব্যস্ত, শহরের মানুষ বিমান পরিষেবা নিয়ে কী ভাবছেন তা তার জানা নেই। আমরা তাকে অনুরোধ করব, এবার এদিকে ফিরে তাকানোর, কারণ এখানে মানুষই তাকে ভোট দিয়ে দিল্লি পাঠিয়েছিল।

তারা জানান, ফোরামের পক্ষ থেকে আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার কথা মতই আমরা শিলচরে আরো বেশি উন্নত বিমান পরিষেবা চাইছি এবং আশা করছি সরকার এগুলো নিয়ে আমাদের কথা শুনবে।

Comments are closed.