PM silent on HPC: Revival Action Committee expresses discontent
প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও কাছাড় কাগজ কল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ তো দূরের, বক্তব্যে উল্লেখ পর্যন্ত নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এইচপিসি পেপার মিলস রিভাইভাল অ্যাকশন কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও কাছাড় কাগজ কল নিয়ে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ এইচপিসি’র এই কাগজ কল পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে অসম্মান করলেন।
সাংবিধানিক এক পদে বসে প্রতিশ্রুতির কোনো মূল্য না থাকায় এটাই প্রমাণ হলো যে, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যেও বলতে পারেন। কমিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের প্রতিবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য স্পষ্ট ভাবেই ভয় পেয়েছিলেন। তাই জনগণের প্রতিবাদী কন্ঠকে দমানোর জন্য পুলিশ বাহিনীকেও ব্যবহার করেছেন এবং তাদের সভায় যোগ দেওয়ার রাস্তা বন্ধ করেছেন।
গত ২৪ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় অর্থের অভাবে কাগজ কলের ৪৯ জন শ্রমিক মারা গেছেন। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী এই মৃত কর্মচারিদের পরিবার এবং অন্যান্য কর্মচারিদের মানসিক স্বস্তির জন্য একটি শব্দও প্রয়োগ করেননি যা থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে তার কাছে সাধারণ মানুষের কোনো সম্মান নেই।
কমিটির প্রধান আহবায়ক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী জানান, যতক্ষণ অবধি কাছাড় কাগজ কলের বিষয়ে সুবিচার করা হবে না ততদিন পর্যন্ত কমিটি সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। বর্তমান ও ভবিষ্যত যুব প্রজন্মের চাকরি সুনিশ্চিত করার স্বার্থে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে কমিটির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে শুক্রবার যুক্ত’র ডিরেক্টার সুবিমল ভট্টাচার্য সহ “ফ্যামিলি মেম্বারস অ্যান্ড সিটিজেনস ফোরাম” এর ব্যানারে হিন্দুস্তান পেপার মিলের কর্মচারি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এক প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তারা তাদের সাক্ষাৎকারে গত দু বছর ধরে বেতন না পাওয়ায় কর্মচারিদের দুর্ভোগের বিষয়টি উত্থাপিত করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধৈর্যের সঙ্গে তাদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান। বাবুল সুপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্রের সঙ্গেও কাছাড় কাগজ কলের দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে কথা বলেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, তার আগে প্রতিনিধি দলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সত্যেন্দ্র গার্গের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের দুর্দশার বিষয়টি অবহিত করেন।
নবেন্দু দে, সঞ্জীব দাস, ডলি দে এবং সর্বজয়া দাস সহ দশ জনের এই প্রতিনিধি দল গত কয়েক দিন ধরে দিল্লিতে অবস্থান করছেন। বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের অবস্থানের কথা জানাতে এই প্রচেষ্টা, যাতে তাদের মুলতুবি বেতন সহ মিল পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়ে ওঠে।
Comments are closed.