Police digs out body from its grave and sends it for postmortem
হত্যার অভিযোগ: কবর থেকে মনার মৃতদেহ তুলে এনে পোস্টমর্টেমে পাঠাল পুলিশ
শেষ পর্যন্ত কবর থেকে তুলে আনতে হল মোজাম্মিল হক বরভূইয়া ওরফে মনার মৃতদেহ। হত্যার অভিযোগ এনে তার ভাই মোবাশির হক বরভূঁইয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নিতে হল পুলিশকে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৮ জানুয়ারি মুজাম্মিল মামার বাড়িতে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে মামা তাকে গাছে বেঁধে রাখে। তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ছিল বলে তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি সকালে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। পরে তাকে ইসলাম ধর্মীয় আচার অনুযায়ী কবর দেওয়া হয়।
কিন্তু তার ভাই মোবাশির হক বরভূঁইয়া এটা মেনে নিতে পারেননি এবং গত ৫ ফেব্রুয়ারি তার ভাইকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন তাদের তিন মামা শহিবুর রহমান বড়ভূইয়া, সাইদুর রহমান বড়ভূইয়া ও মিজাজুর রহমান বড়ভূইয়া ; সাথে আছেন আরো তিনজন মিরাজ উদ্দিন বড়ভূইয়া, হিফজুর রহমান বড়ভূইয়া ও মুজিবুর রহমান বড়ভূইয়া।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলাশাসকের অনুমতিক্রমে গতকাল কবর থেকে মৃতদেহ তুলে আনে পুলিশ এবং শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার মালুগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরৎচন্দ্র জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ ফের কবরস্থ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ সম্বন্ধে পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও কিছু বলতে অস্বীকার করেন তিনি।
Comments are closed.