Rajdeep-Ajanta get BJP membership, Ranjit hints at their candidature in next election
আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করলেন লক্ষীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা, প্রাক্তন মন্ত্রী অজন্তা নেওগ এবং বিপিএফ নেতা বরেন্দ্র মুশাহেরি। মঙ্গলবার সকালে গুয়াহাটিতে দলের রাজ্যে কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিন রাজনৈতিক নেতাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করল রাজ্য বিজেপি। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে রাজদীপ গোয়ালা লক্ষীপুরের বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেন, এতে কংগ্রেস আসাম বিধানসভায় বিরোধী আসনের ভূমিকাও হারিয়েছে। অনুষ্ঠানে স্পষ্ট বাংলায় ভাষণ দেন রাজদীপ গোয়ালা। সদস্যপদ হাতে তুলে দেওয়ার পর রাজদীপকে লক্ষ্মীপুরে ফিরে কার্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে নির্দেশ দেন রঞ্জিত দাস। যদিও এখনও টিকিটের কথা স্পষ্ট হয়নি তবে রাজ্য সভাপতির কথায় কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ফনিন্দ্র শর্মা সহ অন্যান্য নেতারা। প্রথমেই ডেকে নেওয়া হয় অজন্তা নেওগকে। রঞ্জিত দাস পুরনো সময়ের কথা তুলে ধরে বলেন, “যখন আমরা বিরোধী আসনে ছিলাম সেই সময় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভালো ব্যবহার করেছেন অজন্তা নেওগ। তিনি আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি। অজন্তা নেওগ তার ভাষণে বলেন, “বিজেপির একটি ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে যেটা আমার সবথেকে পছন্দের। কংগ্রেসে দমবন্ধ হয়ে আসছিল তাই বাধ্য হয়ে ছেড়ে এসেছি। অনেক আঘাত সহ্য করেছি, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চাইনা, এবার বিজেপির আদর্শে আগামী জীবন কাটাব।”
এরপর ডাকা হয় রাজদীপ গোয়ালাকে, একে একে রঞ্জিত দাস, হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং ফণীন্দ্র শর্মা তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে স্পষ্ট বাংলায় স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভাষণ রাখেন রাজদীপ গোয়ালা। তিনি বলেন, “মূলত বিজেপির সেবামূলক কাজে দীর্ঘ দিন ধরেই আমি অত্যন্ত আনন্দিত ছিলাম। আমি চা-জনগোষ্ঠীর মানুষ, সব সময় আমার মানুষের উন্নতি চেয়েছি। বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি সরকার আমার এলাকায় যে উন্নতি করেছে সেটা অতীতে হয়নি। নরেন্দ্র মোদী সারাদেশে যে কাজ করছেন সেটা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। আমি চাইছিলাম এই কর্মযজ্ঞে সামিল হতে, তাই বিজেপির সদস্যপদ চেয়েছি। এবার দলের নির্দেশে কাজ করব।”
হিমন্তবিশ্ব শর্মা তার ভাষণে বলেন, “অনেকেই আমাদের দলে আসতে চাইছেন, কিন্তু আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের দলে স্থান দিচ্ছি। যেভাবে কংগ্রেস দলের ভালো নেতারা ধীরে ধীরে বিজেপিতে চলে আসছেন, এতে প্রমাণিত হচ্ছে আমরা জনগণের কতটুকু আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। এখন মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচনে একশোর বেশি আসনে আমাদের জয় প্রায় নিশ্চিত। তবে শুধুমাত্র নির্বাচনের উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করি না, যারা আজ আমাদের দলে এসেছেন প্রত্যেককে বলবো জনগণের স্বার্থে কাজ করুন।”
রাজদীপ গোয়ালা লক্ষীপুরের বিধায়কের আসন থেকে সরে যাওয়ায় কংগ্রেস দল এখন বিধানসভায় বিরোধী আসন হারাচ্ছে। ন্যূনতম ২১ জন বিধায়ক থাকলেই আসনে থাকার যোগ্যতা পাওয়া যায়। রাজদীপ গোয়ালা ইস্তফা দেওয়ায় সেই জায়গা হারিয়েছে কংগ্রেস দল।
Comments are closed.