Road mishap on Mahasadak: Dalu Tea Garden worker dies on the spot, locals block road in protest
বড়খলা সমষ্টির অধীনে ডলু-ময়নাগড় এলাকায় ৫৪ নং জাতীয় সড়কে বৃহস্পতিবার সকালে দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় মারা গেলেন ডলু চা বাগানের এক কর্মী। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন এবং পরিস্থিতি অনেকটাই থমথমে। মৃত ব্যক্তির নাম সমলু শুক্লবৈদ্য, বয়স ৫১।এলাকাবাসীর বয়ান অনুযায়ী, সকাল সোয়া আটটা নাগাদ কাজের জন্য ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন সমলু শুক্লবৈদ্য, রাস্তা পেরনোর সময় একটি ডিআই ম্যাক্স গাড়ি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তাকে ধাক্কা মারে। গুরুতরভাবে আহত হন তিনি এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা জানান তিনি মারা গেছেন। এদিকে গাড়ি এবং ড্রাইভার স্থানীয় মানুষ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেন। এরপর পুলিশের আধিকারিকরা গিয়ে ড্রাইভারকে আটক করেন। সমলু শুক্লবৈদ্যর মৃতদেহ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সমলু শুক্লবৈদ্যর স্ত্রী সরম্মা শুক্লবৈদ্য, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং এক ছেলে রাজ্যের বাইরে এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। বহুদিন ধরে ডলু চা-বাগানের কর্মী হিসেবে রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় এলাকায় প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কয়েক বছর আগে প্রায় একই এলাকায় একটি টিপারের ধাক্কায় এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছিলেন। ঘটনা এমন আকার ধারণ করেছিল, শেষমেষ পুলিশসুপার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দিনের পর দিন এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় স্থানীয় জনগন সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। তাদের বয়ান, “এই এলাকা দিয়ে সবসময় প্রয়োজনের বেশি গতিতে গাড়ি চলাচল করে। দিনেরাত্রে পাথর-বালি বোঝাই বড় বড় ট্রাক তাদের দৌরাত্ম্য দেখায়। নানান সময় আমাদের গরু, ছাগল তাদের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। অনেক স্থানীয় ব্যক্তি অতীতে আহত হয়েছেন এবং মারাও গেছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনভাবেই গাড়ির চাকার গতি কমিয়ে আনতে সমর্থ হয় না। এবার আমরা রাস্তা আটকে রেখেছি, যতক্ষণ সুবিচার পাচ্ছিনা অবরোধ খুলবে না।”
তারা জেলাশাসকের কাছে একটি স্মারকপত্র দিয়ে জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা এবং এক সদস্যকে সরকারি চাকুরি দিতে হবে। এছাড়া ডলু এলাকায় ট্রাফিক পয়েন্ট বসিয়ে এই রাস্তায় চলাচলকারি গাড়ির ওপর নজরদারি রাখতে হবে। গাড়িগুলোর চালক কারা সেটা দেখতে হবে এবং কোনভাবেই যাতে নির্দিষ্ট নিয়মের বেশি গতিতে গাড়ি চলতে না পারে, এব্যাপারে অতিসত্বর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সর্বশেষ পাওয়া সংবাদে জানা গেছে, স্থানীয় বিধায়ক কিশোর নাথ এলাকায় উপস্থিত হয়েছেন এবং স্থানীয় জনগণকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এলাকাবাসীর দাবি মেনে নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল থাকবে।
Comments are closed.