Rupam organised one Act Play competition: Dasharupak bags five awards including best direction, best composition
৪০ তম নরেশ চন্দ্র পাল স্মৃতি সর্বভারতীয় বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা ২০২০ তে পাঁচ পাঁচটি পুরস্কার জিতে নিয়ে সেরার সেরা-র শিরোপা পেল শিলচরের ঐতিহ্যবাহী নাট্য সাংস্কৃতিক সংস্থা দশরূপক। দশরূপক পেয়েছে শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা, পরিচালনা, পান্ডুলিপি, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের জেলা গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এক জাঁকালো অনুষ্ঠানে বিজেতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
রূপমের প্রতিযোগিতায় ‘অভিমুখ’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে দশরূপক একাধারে পেয়েছে পাঁচটি পুরস্কার। বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট নাট্যকার চিত্রভানু ভৌমিক পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ পরিচালকের শিরোপা। সঙ্গে এই নাটকেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন মিতালি রাজকুমারী। এবং তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন দলের বর্ষিয়ান সদস্য অশোক দত্ত। এদিকে আগরতলার বিখ্যাত নাট্যদল শিল্পতীর্থ পরিবেশিত ‘কিপ সায়লেন্স’ নাটকটি পেয়েছে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা, পরিচালনা এবং দর্শকের বিচারে শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা মিলিয়ে মোট তিনটি পুরস্কার। শিল্প তীর্থের ইন্দিরা সরকার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার।
অন্যদিকে ‘বাজে মাদল বাজে’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে পয়লা ফুলের নাট্যদল রেস পেয়েছে তৃতীয় শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা, পরিচালনা এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। তৃতীয় শ্রেষ্ঠ পরিচালক ইন্দ্রনীল দে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৃষ্ণ পান্ডে। শিলচরের তরুণ নাট্যকার সপ্তদ্বীপ বিশ্বাস বিবর্তন হাইলাকান্দি পরিবেশিত নাটক ‘অধরা মাধুরী’-র জন্য পেয়েছেন চতুর্থ শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার। সঙ্গে বিবর্তনের ঝুলিতে এসেছে চতুর্থ সৃষ্ট প্রযোজনা এবং দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার। দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন বিবর্তনের কৃষ্ণপ্রিয়া পুরকায়স্থ।
রূপমের নাট্য প্রতিযোগিতায় অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে শ্রেষ্ঠ মঞ্চসজ্জা, পেয়েছেন নান্দনিক শিলচরের সুজিত পাল শেষ দৃশ্য নাটকের জন্য। শিলচরের আজকের প্রজন্ম দলের হয়ে হ্যামলিনের পিকু নাটকে আবহ সংগীত প্রয়োগ করে শ্রেষ্ঠ আবহ প্রয়োগের পুরস্কার পেয়েছেন শুভম দাস। করিমগঞ্জের বিশ্ববীণা পরিবেশিত স্ট্যাচু নাটকটির জন্য শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন সুতনুকা দেব। শ্রেষ্ঠ আলো প্রক্ষেপণ পেয়েছেন থিয়েটার কমিউন করিমগঞ্জের সাগর পাল। এদের নাটকের নাম কুয়াশা। শিলচরের পূবালী পেয়েছে শ্রেষ্ঠ নিয়মানুবর্তিতার পুরস্কার।
এছাড়া সুন্দর নাটকে অভিনয় করে গণসুর শিলচরের বিশিষ্ট পরিচালক সুব্রত রায় পেয়েছেন দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন শেমূসী কলকাতার ফুটবল নাটকের সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। নান্দনিক শিলচরের পারমিতা পাল শেষ দৃশ্য নাটকের জন্য পেয়েছেন দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। সারস্বত শিলচরের আলোর পাখি নাটকের জন্য মানালি চক্রবর্তী তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং পৃশ্বেতা ভট্টাচার্য চতুর্থ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন গণসুর শিলচর থেকে সুন্দর নাটকে অভিনয় করে।
পাশাপাশি নাট্যাঙ্গন শিলচরের দেবাশীষ চক্রবর্তী সত্যের অপলাপ নাটকে অভিনয় করে পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেতার পুরস্কার। এই বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছেন স্বপ্নলোক ধর্মনগরের অভিনেতা রঞ্জিৎ পুরকায়স্থ। নাটকের নাম চোর। নয়া গ্রুপ শিলচরের পল্লব ভট্টাচার্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন বিড়াল মার্জার সুন্দরী নাটকের জন্য। শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী বিভাগে প্রথম স্থান দখল করেছেন কোচবিহারের অনাসৃষ্টি নাট্যদলের তুলি ঘোষ। তিনি অভিনয় করেছেন নিবেদিতা এক ভিনদেশী তারা নাটকে। যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছেন করিমগঞ্জের নব দিগন্ত নাট্যদলের মিলি নাথ এবং নয় গ্রুপের শিবাঙ্গী চক্রবর্তী। মিলি পেয়েছেন ভাবিয়া দেখো নাটকে এবং শিবাঙ্গীর ঝুলিতে পুরস্কার এসেছে বিড়াল মার্জার সুন্দরী নাটকের জন্য। একই সঙ্গে আজকের প্রজন্ম শিলচর প্রযোজিত নাটক হ্যামলিনের পিকু তে পিকু চরিত্রে অভিনয় করে প্রতীক বার্মা পেয়েছে শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর শিরোপা। এই বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছে কোচবিহার অনাসৃষ্টির সৃধিমা সাহা। নিবেদিতা এক ভিনদেশী তারা নাটকে সন্তোষিনী চরিত্রে অভিনয় করে। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন শিলচরের নাট্য ও সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্টজনেরা। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রূপম এর উদ্যোগে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে সদ্য পদ্মশ্রী পুরস্কার জয়ী শিলচরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রবি কান্নান এবং করিমগঞ্জের যাত্রা শিল্পী গীতিকারঞ্জন দেবকে। ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও।
Comments are closed.