Also read in

Silchar comes second in Nuruddin Trophy final, Dibrugarh defeats defending champion

  টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দারুন সুযোগ ছিল শিলচরের সামনে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন প্রীতম দাসরা। নুরুদ্দিন ট্রফি সিনিয়র আন্তঃজেলা ক্রিকেটের খেতাব ধরে রাখতে পারল না শিলচর। ‌টানা তিন দিন বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাওয়ার পর মঙ্গলবার রিজার্ভ ডে তে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ডিব্রুগড়। ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম ইনিংস এর লিডের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল ডিব্রুগড়।

গত ৩০ জুন শুরু হয়েছিল এই চারদিবসীয় ফাইনাল ম্যাচ। তবে প্রথম দিনের কথা ছেড়ে দিলে বাকি তিন দিন বৃষ্টির জন্য এক বলও খেলা হয়নি। টানা তিন দিনই ভেস্তে যায়। ফলে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডে তে। প্রথম দিনের স্ট্যাম্পসে ডিব্রুগড়ের স্কোর ছিল আট উইকেটে ২১৮। আজ রিজার্ভ ডে তে সেখান থেকেই খেলা শুরু করে ডিব্রুগড়। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৩৯ রানে। চার উইকেট শিকার করেন শিলচরের বা হাতি স্পিনার রাহুল সিং। দুটি নেন অধিনায়ক প্রীতম।

শিলচর দল আজকের দিনটা কাটিয়ে দিতে পারলেই হয়ে যেত। তখন উভয় দলকে যুগ্ম বিজয়ী ঘোষণা করা হতো। তবে ডিব্রুগড়ের দুরন্ত বোলিং অ্যাটাকের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শিলচরের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ৭০ ওভারে। দিনের খেলা শেষ হতে তখনো বাকি ছিল আরো ১৬ ওভার। দলটার ব্যাটিংয়ে বেশ গভীরতা থাকলেও মূলত চারজনের উপরই নির্ভরশীল ছিল শিলচর। ‌ সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও যেন সেই কথাটাই প্রমাণিত হলো।

খাতা খোলার আগেই ওপেনার মানস গগৈ কে ফিরিয়ে শিলচর কে প্রথম ধাক্কা টা দেন সুনীল লাচিত। এরপর সেমিফাইনালে দুই সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ মোশারফ ও সুনজো ব্রহ্ম ইনিংস মেরামতের কাজে হাত লাগান। দুজনেই খুব সুন্দর খেলছিলেন। তবে বড় শট হাকাতে গিয়ে নিজের বিপদ থেকে আনেন মোশারফ (৩৩)। তখনো এক প্রান্তে দারুন ছন্দে ছিলেন সুনজো। অভিষেক ঠাকুরির সঙ্গে ছুটি বেঁধে দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দেবার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। একটা সময় দুই উইকেটে ১০২ রান ছিল শিলচরের স্কোর। তবে দুরন্ত এক হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরে যান সুনজো (৫৫)। কিছু সময়ের মধ্যেই শিলচরের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১০। ফিরে যান অভিষেক ঠাকুরি (১৪) ও রসোন টপনো (৬)। এরপর অমন সিং (৬) ও সমীক দাস ( ০ ) কোন কামাল করতে পারেননি। শমীকের পর অধিনায়ক প্রীতম ও খাতা খোলার আগেই ফিরে যান। শিলচর তখন ৮ উইকেটে ১২৬ রানে দাঁড়িয়ে।

‌ তখন মনে হচ্ছিল খুব সহজেই লড়াই থেকে হারিয়ে যাবে শিলচর। কিন্তু নবম উইকেটের জন্য অমিত যাদব ও অমন ছেত্রী দারুন লড়াই করেন। দুজনে ২২ ওভার উইকেট আকরে থাকেন। রান যোগ করেন ৪৬। ফের একবার চাপের মধ্যে লড়াকু ব্যাটিং করেন অমিত। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। ১০ রান করে আউট হন অমন ছেত্রী। ৬ উইকেট শিকার করেন ডিব্রুগড়ের বাঁহাতি স্পিনার নিশান্ত সিংহানিয়া। তার বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ২৩-৯-৪৩-৬। দুটি নেন মোক্তার হোসেন।

Comments are closed.