
Six new flyovers in Assam, not a single for Barak Valley
রাজ্যে ছটি উড়ালপুল তৈরি হতে চলেছে, ঘোষণা আসামের পরিবহন মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারীর। এটা নিঃসন্দেহে বড় এবং খুশির সংবাদ। কিন্তু বরাকবাসীরা এক্ষেত্রে খুশি হতে পারবেন না। কারণ ছ’টার মধ্যে একটাও বরাক উপত্যকার ভাগ্যে জোটেনি। অথচ শিলচরের যানজটের দুরবস্থার কথা সবারই জানা। বরাকবাসীর জন্য আসামের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির ঝুলিকে শিলচরে উড়ালপুল গড়ে তোলার আশ্বাস সমৃদ্ধ করে তুলেছিল বারবার। সেই প্রতিশ্রুতি, সেই আশ্বাস এখন নিছক বাক্য সমষ্টি কিংবা রাজনৈতিক চমক মাত্র! উল্লেখ্য, গুয়াহাটিতে তিনটি উড়ালপুল ছাড়া আসামের নগাও, বঙ্গাইগাও ও ডিব্রুগড় জেলায় একটি করে উড়াল পুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিলচরবাসীদের ঠিক মনে আছে, পুর নির্বাচনের আগে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে শিলচরে একটি উড়ালপুল গঠনের প্রতিশ্রুতি সামিল ছিল। যদিও পুর বোর্ড গঠন করার পর এ শুধু প্রতিশ্রুতি হয়েই রয়ে যায়। শুধু তাই নয় আসামের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও ২০১৭ সালের বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন যে, শিলচরে উড়ালপুল স্থাপন করা হবে। বরাকবাসীর জন্য এসব এখন নিছক মিথ্যে প্রতিশ্রুতি মাত্র! কারণ বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি, প্রবাদ বাক্যটি আওড়াতে হচ্ছে বরাকবাসীকে।
শিলচরের যানজট সমস্যা অনেক পুরনো। প্রতিনিয়ত বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। দু চাকার মোটরসাইকেল তো বটেই, ছোট বড় চার চাকার গাড়ির সংখ্যাও বেড়েই চলেছে।কাজের সন্ধানে আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রতিনিয়ত শিলচরে পাড়ি দিচ্ছেন জনগণ। তাই জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাহনের সংখ্যা। এই অবস্থায় শিলচরের রাস্তা চওড়া করা যখন সম্ভব হচ্ছে না তখন উড়ালপুল এই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে মনে করেন অনেকেই। বিভিন্ন সংগঠন এ ব্যাপারে সমীক্ষাও চালিয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে , অফিস শুরু এবং অফিস শেষ হওয়ার সময় অর্থাৎ ১০ টা থেকে ১১ টা এবং পাঁচটা থেকে ছয়টা শিলচরে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও সারাদিন ধরেই থাকে যানজট। সেই যানজটের শিকার হয়ে তারাপুর, প্রেমতলা, রাঙ্গিরখাড়ির মতো ব্যস্ত জায়গায় জনগণের চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে উঠে। সমীক্ষার ফলাফলে শিলচরে উড়ালপুল হলে এই যানজটের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে বলে দেখা যায়। তাছাড়া উড়ালপুল নামানোর মতো জায়গাও শিলচরের রয়েছে বলে সমীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। বিভিন্ন সময়ে দেওয়া রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি তথা এ ধরনের সমীক্ষার ফল বরাকবাসীর মনে আশার সঞ্চার করেছিল যে, শিলচরেও একটি উড়ালপুল স্থাপিত হবে। কিন্তু চন্দ্রমোহন পাটোয়ারীর ঘোষণার পর সব জল্পনার অবসান ঘটে যায়।শিলচরে উড়ালপুল স্থাপনের জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কিংবা আদৌ উড়ালপুল স্থাপিত হবে কিনা তা সত্যিই প্রশ্ন চিহ্ন।
Comments are closed.